বেনজির হত্যার ১০ বছর পর দায় স্বীকার তালেবানের
প্রকাশিত : ২৩:২৫, ১৫ জানুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ০৯:৫১, ১৬ জানুয়ারি ২০১৮

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো হত্যাকাণ্ডের ১০ বছর পর প্দায় স্বীকার করল তালেবান। তালেবান নেতা আবু মনসুর আসিম মুফতি নুর ওয়ালি’র লেখা এক বইতে বেনজির হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে সংগঠনটি।
তালেবান নেতা আবু মনসূর এর লেখা “ইনকিলাব মেহসুদ সাউথ ওয়াজিরিস্তান-ফ্রম ব্রিটিশ রাজ টু অ্যামেরিকান ইমপেরিয়ালিসম” নামের বইটি গত বছরের ৩০ নভেম্বর প্রকাশিত হয়। আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশ থেকে প্রকাশিত হয় এ বইটি। আর এ বইতেই বেনজির হত্যাকাণ্ডে নিজেদের জড়িত থাকার কথা প্রথমবারের মত স্বীকার করে তালেবান।
এ বইতে তালেবান নেতা জানান, বিলাল ওরফে সাইদ এবং ইকরামুল্লাহ নামের দুই ব্যক্তিকে বেনজির হত্যার উদ্দেশ্যে “আত্মঘাতী” মিশন দিয়ে পাঠানো হয়। বিলাল প্রথমে তার সাথে থাকা পিস্তল দিয়ে বেনজিরকে গুলি করে। এতে গলায় গুলিবিদ্ধ হন বেনজির ভুট্টো। পরে বিলাল তার শরীরের সাথে সংযুক্ত থাকা বোমার জ্যাকেটে বিস্মোরণ ঘটায়”।
তবে ইকরামুল্লাহ পরবর্তীতে আর নিজের বোমার জ্যাকেটে বিস্ফোরণ ঘটায়নি এবং তিনি এখনও বেঁচে আছেন। ৫৮৮ পাতার এই বইটি গত রবিবার অনলাইনে প্রকাশ করা হয়। এ বইতে আরো জানানো হয় যে, সেসময়ের তালেবান নেতা বায়তুল্লাহ মেহসুদ পুরো হত্যা পরিকল্পনার নেতৃত্ব দেন।
অন্যদিকে ২০০৭ সালের অক্টোবরে বেনজির ভুট্টোর আরেক মিছিলে বোমা হামলার কথাও স্বীকার করা হয় এ বইতে। করাচির সে মিছিলে দুই আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীর আঘাতে নিহত হন ১৪০জন পাকিস্তানি। তবে সেবার বেঁচে গিয়েছিলেন বেনজির ভুট্টো।
চারদিকে আলোড়ন সৃষ্টি করা এ বইতে ভুট্টো হত্যাকান্ডে পাকিস্তানি নিরাপত্তাবাহিনীর দূর্বলতাও প্রকাশ করা হয়। বইতে লেখা হয়, “করাচিতে ভুট্টোর ওপর হামলার পর রাওয়ালপিণ্ডিতে বেনজিরের মিছিলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা রাখেনি পাকিস্তানি নিরাপত্তাবাহিনী। আর যে কারণে বেনজির ভুট্টোর অনেক কাছাকাছি যেতে পারে হামলাকারীরা”।
২০০৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর বেনজির হত্যাকাণ্ডের পর সেসময়ে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মোশাররফের প্রশাসন তেহরিক-ই-তালেবানকে এর জন্য দায়ী করে। তবে এতদিন পর্যন্ত সংগঠনটি এ বিষয়ে নীরব ছিল।
সূত্রঃ হিন্দুস্তান টাইমস
//এস এইচ এস//
আরও পড়ুন