রোহিঙ্গাদের তাড়াতে ডাকাতি চালিয়েছে সেনারা: অ্যামেনেস্টি
প্রকাশিত : ২২:১৭, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ২২:১৮, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
রোহিঙ্গাদের দেশছাড়া করতে প্রথমে তাঁদের ঘর-বাড়িতে ডাকাতি চালিয়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। শুধু তাই নয়, নারী-পুরুষ-শিশুদের খাদ্য ও সম্পদহীন করতে প্রত্যেক রোহিঙ্গার বাড়িতে যা ছিল, সব কিছু লুট করে নিয়ে যায় দেশটির কর্তৃপক্ষ।
এমনকি সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের জীবন অসহনীয় করে তুলতে তাঁরা প্রতি বাড়িতে ধর্ষণ চালিয়েছে। আর এর মাধ্যমেই রোহিঙ্গাদের দেশছাড়া করা হয়েছে, মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের গবেষণায় এ চিত্র ওঠে এসেছে।
গত বুধবার দেওয়া এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, এখনো দেশটি সংখ্যালঘুদের নিধন অভিযান চলছে। আর এদের মধ্যে ৬ লাখ ৯০ হাজার রোহিঙ্গা এই নিধন অভিযান থেকে বাঁচতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।
দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী রোহিঙ্গা পরিবারের মেয়ে ও মহিলাদের জোর করে ধরে নিয়ে যায়। শুধু তাই নয়, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসার সময় যুবতী নারীদের চেকপোস্ট বসিয়ে নিজেদের জিম্মায় রেখে দেয় সেনারা। এরপর তাদের ওপর পালাক্রমে চালায় নির্যাতন। এদের অনেকের মৃত্যু হয়েছে কেবল গণধর্ষণের ফলে। আর এটাই রোহিঙ্গাদের দেশত্যাগে বাধ্য করেছে অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে।
এদিকে অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের কাছে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রোহিঙ্গারা বলেন, দেশ ছাড়ার অন্যতম কারণ কেবল খাদ্য সংকট। দিলদার বেগম নামের এক রোহিঙ্গা মহিলা বলেন, আমরা খাদ্য পাইনি। অন্য কারণের মধ্যে মূলত খাদ্য সংকটের জন্যই আমরা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছি।
সূত্রঃ আল-জাজিরা
এমজে
আরও পড়ুন