ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪

নরওয়ের বিলাস বহুল কারাগার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৩১, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

বিশ্বজুড়ে এমন কিছু কারাগার রয়েছে যেখানে বন্দীদের জন্য থাকে সর্বোচ্চ আয়েশি আয়োজন। কোনো কোনোটি আবার হার মানায় ধনকুবেরদের বিলাসী জীবনকেও। এমনই একটি কারাগার রয়েছে নরওয়েতে। নাম হলডেন কারাগার।

নানা ধরনের ছোট-বড় সামাজিক অপরাধ করেছেন, মামলা খেয়েছেন। বিচারের রায়ও হয়েছে, জেলে থাকতে হবে। বেসটয় জেলে এসে পেয়েছেন এই বিলাসী জীবন। নিরপরাধ, খেটে খাওয়া মানুষের হয়তো তাদের দেখে হিংসা হবে— কেনইবা হবে না? এই কারাগারে থাকা কয়েদিদের বন্দী জীবন কাটাতে দেওয়া হয় কাঠের তৈরি আলাদা আলাদা কটেজ। কটেজে ডিশ টিভি চ্যানেলে নাটক দেখার ব্যবস্থার সঙ্গে রয়েছে আলাদা সাউন্ড সিস্টেম। 

কারাগারটি করা হয়েছে দ্বীপের কাছাকাছি। চমৎকার শান্ত লেকের পাশে শীতের সকালে উষ্ণ রোদ পোহাতে পোহাতে ল্যাপটপে গান শুনতে পারেন কয়েদিরা। চাইলে মাছ ধরতে চলে যেতে পারেন লেকে। আছে ঘোড়া নিয়ে একটু দৌড়ে আসার সুযোগ। বরফে স্কি করতে যেতে পারেন।

২০১০ সালে নরওয়েতে হলডেন কারাগারের যাত্রা শুরু হয়। টাইম ম্যাগাজিন এই কারাগারকে বলে আয়েশি সংশোধন কেন্দ্র। কয়েদিদের ঘরগুলো নানা রঙে রাঙানো। থাকার ঘরগুলোর সঙ্গে এটাচট গোসলখানায় লাগানো আছে দামি সিরামিক টাইলস। বড় পর্দার টিভি, ফ্রিজ, দামি দামি আসবাবপত্র দিয়ে তাদের রুমগুলো গোছানো। জেলে থাকা মানুষগুলো যেন বুঝতেই না পারে তারা জেলে আছেন। তাই তাদের ঘরের জানালায় কোনো গ্রিল বা লোহার শিক নেই।

কারারক্ষীদের দুর্ব্যবহার যেন বন্দীদের ওপর খারাপ প্রভাব না ফেলে তাই আলাদা কোর্স করানো হয় কারারক্ষীদের। হলডেন কারাগারের অর্ধেক কারারক্ষীই নারী। নানা অপরাধ করে জেল খাটতে আসা বন্দীদের জন্য রয়েছে সুস্বাদু খাবারের ব্যবস্থা। তাদের জন্য আধুনিক হাসপাতাল দেখলে অনেকেই বিস্মিত হবেন। রয়েছে সিনেমা হল। বাস্কেটবলসহ খেলাধুলার জন্য আলাদা কোর্ট, মাঠ। কারারক্ষীদের বেশির ভাগেরই হাতে কোনো অস্ত্র নেই। বন্দীদের জেলজীবন যখন শেষ হয়, বেরিয়ে যাওয়ার সময় তাদের প্রায় সবাই বলেন, এখানে তো আরাম-আয়েশেই ছিলাম!

এখানকার আরাম-আয়েশ দেখলে মনে হবে কদিনের জন্য বেড়াতে এসেছেন।

সূত্র: নিউজ ডট কম

একে//এসি 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি