যার কারণে বরফ গললো দুই কোরিয়ার
প্রকাশিত : ১৫:৩১, ২৮ এপ্রিল ২০১৮
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের দক্ষিণ কোরিয়া সফরের মধ্য দিয়ে ৭০ বছরের বছর জমানো বরফ গলতে শুরু করেছে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক বিশ্ব। গত দুই দশক ধরেই দুই কোরিয়ার শত্রুতা নির্মূলে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। অবশেষে পেলেন সফলতা। আর সেই সফল ব্যক্তিটি হলেন দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা প্রধান সুহ হোন।
আজ থেকে ১৮ বছর আগে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং টুকে রাজি করাতে গোয়েন্দা প্রধান সুহ হোন উত্তর কোরিয়া সফর করেছিলেন। ২০০০ সালের ওই সফরে কিমের পুত্রের দুই কোরিয়ার মধ্যে শান্তি স্থাপনের আগ্রহ লক্ষ্য করেছিলেন। এরপর থেকেই মূলত দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার ক্ষেত্র তৈরির চেষ্টা করে আসছিলেন তিনি।
১৯৫০-৫৩ সালের যুদ্ধের পর কিম জং উন-ই কোনো নেতা যিনি দুই কোরিয়ার বিতর্কিত গ্রাম পানমুজামের সেই সীমারেখা অতিক্রম করে দক্ষিণ কোরিয়ায় পা রাখেন। দক্ষিণ কোরিয়া প্রগতিশীল নেতা মুন জায়ে ইন গত বছরে দায়িত্ব নেওয়ার পরই সুহ হোনকে দেশটির গোয়েন্দা প্রধান নিয়োজিত করেন। নিয়োগ পাওয়ার পরই সুহ হোন বলেন, দুই কোরিয়ার মধ্যে বৈঠক জরুরি।
উল্লেখ্য, ২০০০ ও ২০০৭ সালে অুনষ্ঠিত দুটি আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্মেলনে সোহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। দক্ষিণ কোরিয়া সুহ বেশ পরিচিত একটি নাম। কারণ তিনিই প্রথম কোনো উত্তর কোরীয় নেতাকে আলোচনায় বসাতে চেষ্টা করেছিলেন। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালেও দেশ দুটির মধ্যে আলোচনার দ্বার তৈরি হয়েছিল।
জানা গেছে, ১৯৯০ সালের শেষের দুই বছর সুহ উত্তর কোরিয়ায় অবস্থান করছিলেন। ওই সময় পিয়ংইয়ংকে পারমাণবিক অস্ত্র থেকে দমাতে তিনি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তবে তার ওই চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল। এদিকে সুহ এর ভূমিকা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে প্রেসিডেন্টের বাসভবন ব্লু হাউজ। শুধু তাই নয়, দেশটির গোয়েন্দা সংস্থাও কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
সূত্র: রয়টার্স
এমজে/
আরও পড়ুন