ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৪ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

‘ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল দেওয়া উচিৎ’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৩৮, ১ মে ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

দীর্ঘদিনের বৈরিতার অবসান ঘটিয়ে দুই কোরিয়াকে এক করে কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি ফেরার পথ উন্মোচনে অবদান রেখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই ট্রাম্পের নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়া উচিৎ বলে দাবি করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন।

সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মু জ্য ইন এ মন্তব্য করেছেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের বাসভবন ও সরকারি দফতর ব্লু হাউস বলছে, মুন বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিৎ। আমাদের সবার দরকার শান্তি স্থাপন করা।’

দুই কোরিয়ার সীমান্তবর্তী গ্রাম পানমুনজমে গত শুক্রবার এক ঐতিহাসিক বৈঠকে কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি ফিরিয়ে আনতে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন উন ও মুন। ওই বৈঠকে দুই নেতা কোরীয় উপদ্বীপকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করতে একসঙ্গে কাজ করার ঘোষণা দেন। সেই সঙ্গে অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ করে চলতি বছরই একটি শান্তি চুক্তিতে সই করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও চীনকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন দুই নেতা।

দক্ষিণের সাবেক প্রেসিডেন্টের স্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তার জবাবে মুন জ্য ইন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে নোবেল দেওয়ার দাবি তুলেছেন। ‘মুনকে সম্মানজনক পুরস্কার দেওয়া উচিৎ’- বলে লি মন্তব্য করলেও দক্ষিণের প্রেসিডেন্ট বলছেন, ‘পুরস্কার ট্রাম্পের প্রাপ্য।’

লির প্রয়াত স্বামী কিম দায়ে জুং ১৯৯৮ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত দক্ষিণের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনিই শান্তিতে দেশটির একমাত্র নোবেল পুরস্কার জয়ী। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ২০০০ সালে ঐতিহাসিক সম্মেলনের পর তিনি ওই পুরস্কার পেয়েছিলেন। কিম জং উনের প্রয়াত বাবা তৎকালীন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং ইলের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন কিম দায়ে জুং।

এদিকে, গত শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্প এক সমাবেশে অংশ নেন। এসময় কোরীয় ইস্যুতে তার বক্তৃতার মাঝে অনেকেই নোবেল, নোবেল বলে স্লোগান দেন।

আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের সঙ্গে মার্কিন এ প্রেসিডেন্ট বহুল প্রতিক্ষীত বৈঠকে বসবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

তথ্যসূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস।

একে// এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি