জার্মানিতে ইংরেজি পরীক্ষায় ‘অসমীচীন’ প্রশ্নের অভিযোগ
প্রকাশিত : ২৩:৫৯, ৪ মে ২০১৮
জার্মানিতে একটি পরীক্ষায় ‘অসমীচীন’ এবং ‘অযৌক্তিক’ ইংরেজি প্রশ্ন থাকার অভিযোগ জানিয়েছেন পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা। পরীক্ষা শেষে এমন প্রশ্নের নিন্দা জানিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা। উত্তরপত্র মূল্যায়নের সময় কর্তৃপক্ষ যেন বিষয়টি বিবেচনা করে তার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদনও করেছেন তারা।
স্কুল থেকে কলেজ পর্যায়ে ওঠার (ইংরেজি মাধ্যমের এ-লেভেল পরীক্ষার সমান) এই পরীক্ষায় অংশ নেয় প্রায় ৩০ হাজার জার্মান শিক্ষার্থী। সেই পরীক্ষায় ইংল্যান্ডের ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে আসার বিষয় ‘ব্রেক্সিট’ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ‘স্ট্যাচু অব লিবার্টি’ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। ইংরেজির ব্যাকারণিক জ্ঞানের বাইরে সাম্প্রতিক সময়ের সাধারণ জ্ঞানও দরকার এই প্রশ্নের উত্তর দিতে। আর এতেই ক্ষুব্ধ হয় শিক্ষার্থীরা।
একটি প্রশ্নে দেখা যায় যে, ব্রেক্সিট ইস্যুতে ‘দ্য ফ্যান্টাসি’ (কল্পনা) এবং ‘দ্য রিয়েলিটি’ (বাস্তবতা) শিরোনামের দুইটি ছবি দিয়ে তার ওপর শিক্ষার্থীদের মন্তব্য চাওয়া হয়।
আরেকটি প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার প্রতীক খ্যাত স্ট্যাচু অব লিবার্টি সম্পর্কে তুলনামূলক উত্তর চাওয়া হয়। আর এসব প্রশ্নই পরীক্ষার্থীদের অসন্তোষের কারণ।
পাশাপাশি প্রশ্নে ব্যবহৃত ইংরেজি শব্দগুলোর অর্থ ‘দূর্বোধ্য’ এবং ‘সেকেলে’ বলেও অভিযোগ করেন তারা। প্রায় ৩৫ হাজার শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর যুক্ত আবেদন পত্রে বলা হয় যে, প্রশ্নে পত্রে কিছু শব্দ ১৯৩৪ সালে প্রকাশ হওয়া হেনরি রোথের লেখা ‘কল ইট স্লিপ’ নামক একটি উপন্যাস থেকে নেওয়া হয়। এই শব্দগুলোর অনেকগুলোর অর্থ পরীক্ষার্থীরা বুঝতে পারেননি বলে জানান। এছাড়াও প্রশ্নের উত্তর ঠিক কীভাবে দিতে হবে সে বিষয়েও স্পষ্ট নির্দেশনা ছিল না বলেও অভিযোগ তাদের।
তবে প্রশ্নের বিপক্ষে এই অভিযোগ মানতে নারাজ জার্মানির দক্ষিণ অংশের শিক্ষা বোর্ডের আঞ্চলিক কর্মকর্তা ব্যাডেন উরটেমবার্গ। পরীক্ষার প্রশ্নে থাকা শবগুলো ‘সঠিক ও যথার্থ’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আর আঞ্চলিক সংস্কৃতি বিষয়ক কর্মকর্তা সুজানে ইজেনম্যান বলেন, “আমি বিশ্বাস করি যে, শিক্ষকেরা যখন খাতা মূল্যায়ন করবেন তখন তারা তাদের বিচারিক ক্ষমতার যথাযথ প্রয়োগ করবেন”।
জার্মানির শীর্ষস্থানীয় ভাষাবিদ বার্নড সর বলেন, “পরীক্ষার ফলাফল না আসা পর্যন্ত সবাইকে ধৈর্য্য রাখার অনুরোধ করছি আমি। এই ফলাফলে সবার খুব বড় ধরণের ক্ষতি হবে না”।
সূত্র: বিবিসি
//এস এইচ এস//টিকে
আরও পড়ুন