কাশ্মীরে বন্দুকযুদ্ধে লস্কর নেতাসহ নিহত ৩
প্রকাশিত : ০৯:৪৭, ৬ মে ২০১৮ | আপডেট: ১০:০৯, ৬ মে ২০১৮
ভারতের বিরোধপূর্ণ অঞ্চল কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর বিশেষ অপারেশনে নিহত হয়েছেন লস্কর-ই-তৈয়বের অন্যতম শীর্ষ নেতা শওকত আহমেদ তাক। এসময় বন্দুক যুদ্ধে শওকতের আরও দুই সহযোগী নিহত হয় বলে জানায় কাশ্মীর পুলিশ। এছাড়াও অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর ৪ জন সদস্য আহত হন।
শওকত আহমেদ তাক লস্কর-ই-তৈয়বের অন্যতম শীর্ষ নেতা। লস্কর-ই-তৈয়ব ভারত সরকারের কাছে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে পরিচিত এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত। গত বছর দেশটির সেনাবাহিনী কাশ্মীর অঞ্চলের শীর্ষ ১২ সন্ত্রাসীর একটি তালিকা প্রকাশ করেন। এই তালিকার ‘এ++’ ক্যাটেগরিভুক্ত অন্যতম সদস্য শওকত।
বিগত ছয় বছর ধরে কাশ্মীরে শওকত তার নেটওয়ার্কের বিস্তার ঘটায় বলে তথ্য আছে পুলিশের কাছে।
স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শওকতকে ধরার জন্য শ্রীনগরের চাট্টাবাল এলাকায় ‘সার্চ অপারেশন’ শুরু করে পুলিশ। সদ্য নির্মিত একটি বাড়িতে শওকতকে তার দুই জন সহযোগীসহ ঘেরাও করতে সমর্থ হয় নিরাপত্তাবাহিনী। বাড়ির ভেতর থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়া হলে শুরু হয় দু’পক্ষের বন্দুক যুদ্ধ।
গতকাল শনিবার দুপক্ষের এই বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
প্রায় ৮ ঘন্টা বন্দুকযুদ্ধের পর ঐ বাড়িটির ভেতর থেকে জঙ্গিদের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় তিনটি একে-৪৭ রাইফেলও জব্দ করে পুলিশ।
কাশ্মীরের পুলিশ সুপার ভাইদ বলেন, “বন্দুকযুদ্ধ শেষ হয়েছে। এতে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশের নেতৃত্বে একটি যৌথ বাহিনী অংশ নেয়। তিনটি মৃতদেহের মধ্যে একটি শওকত আহমেদ তাকের বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। বাক দুই জনের পরিচয় উদ্ধারের কাজ চলছে”।
এদিকে এই অপারেশনের একটি ভিডিও অনলাইনে ভাইরাল হলে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীদের বিরুদ্ধে স্থানীয়রা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এসময় নিরাপত্তা বাহিনীর একটি গাড়ির চাপায় নিহত হয় একজন বিক্ষোভকারী। তবে পুলিশ এটিকে দূর্ঘটনা বলে দাবি করেছে। নিহতের নাম আদিল আহমেদ ইয়াদু বলে জানিয়েছে পুলিশ।
চলতি বছরে, কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনী ও সন্ত্রাসীদের মধ্যে বড় ধরণের বন্দুক যুদ্ধের এটি দ্বিতীয় ঘটনা। গত ফেব্রুয়ারি মাসে চাট্টাবালের কাছে করন নগরীতে ২৮ ঘন্টা ব্যাপী হওয়া এক বন্দুকযুদ্ধে দুই সন্ত্রাসী নিহত হয়েছিল।
সূত্রঃ এনডিটিভি
//এস এইচ এস//
আরও পড়ুন