লেবাননের নির্বাচনে হিজবুল্লাহ জয়ী, প্রধানমন্ত্রী থাকছেন হারিরি-ই
প্রকাশিত : ১৪:২৩, ৮ মে ২০১৮
লেবাননের পার্লামেন্ট নির্বাচনে ইরান সমর্থিত শিয়া রাজনৈতিক গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও এর মিত্র রাজনৈতিক দলগুলো নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে বলে দাবি করেছে হিজবুল্লাহ। দীর্ঘ নয় বছর পর অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে সরকারিভাবে হিজবুল্লাহর জয় নিশ্চিত হওয়ায় রাজনৈতিকভাবে আরও শক্তিশালী হবে সংগঠনটি। তবে দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও দেশটির সংবিধান অনুসারে প্রধানমন্ত্রী থাকছেন সাদ হারিরি।
প্রাথমিক ফলাফলে জানা গেছে, ১২৮ আসনের ৬৭টিতেই জয় পেয়েছে হিজবুল্লাহ। হিজবুল্লাহার প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর জনগণের উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে বলেন, এ বিজয় আমাদের জন্য একটি বার্তা দিয়েছে। জনগণ আর পশ্চিমা শক্তি সমর্থিত সরকারকে সমর্থন করে না।
এদিকে লেবাননে হিজবুল্লাহর শক্তিশালী অবস্থান আঞ্চলিক ক্ষমতার দ্বন্দ্বে ইরানের কর্তৃত্বকে আরও বিস্তৃত করবে বলে ধারণা করছে বিশ্লেষকরা। এর মাধ্যমে ইরানের প্রভাব ইরাক ও সিরিয়া হয়ে বৈরুত পর্যন্ত পৌঁছে যাবে বলেও ধারণা তাদের । হিজবুল্লাহ লেবাননের প্রতিবেশী ইসরায়েলের শত্রু এবং যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’।
কট্টর হিজবুল্লাহ বিরোধী খ্রিস্টান রাজনৈতিক দল লেবানিজ ফোর্স এবারের নির্বাচনে আগের চেয়ে ভাল ফল করেছে। বেসরকারি ফলাফলে তারা ১৫ আসনে জয় পেয়েছে, যেখানে ২০০৯ সালের নির্বাচনে তারা ৮টি আসন পেয়েছিল।
অনানুষ্ঠানিক ফল অনুসারে, পশ্চিমা সমর্থিত প্রধানমন্ত্রী সাদ আল-হারিরি সুন্নি নেতা হিসেবে আবির্ভূত হবেন। ১২৮ আসনের সংসদে তিনি আসন হারালেও তিনিই সরকার গঠন করবেন। কারণ দেশটির সংবিধান অনুযায়ী লেবাননের প্রধানমন্ত্রীকে একজন সুন্নি হতে হবে। নতুন সরকারেও আগের মতোই সব প্রধান রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মন্ত্রিসভার দায়িত্ব বন্টনে সময় লাগতে পারে।
হিজবুল্লাহর মিত্রদের মধ্যে রয়েছে সংসদের স্পিকার নাবিহ বেরিহর নেতৃত্বাধীন শিয়া আমল মুভমেন্ট, প্রেসিডেন্ট মিশের আয়ুনের প্রতিষ্ঠিত খ্রিস্টিয়ান ফ্রি প্যাট্রিয়টিক মুভমেন্ট। এছাড়া সুন্নি মতালম্বী কয়েকটি দলকেও সমর্থন দিয়েছে হিজবুল্লাহ। তাদের সমর্থিত সুন্নিরা বৈরুত ও সিডনে ভালো ফলাফল করেছে। অথচ এসব এলাকায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সাদ হারির দল ফিউচার মুভমেন্টের শক্ত অবস্থান ছিল।
হিজবুল্লাহর সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে জয়ীদের মধ্যে রয়েছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও শিয়া মতাবলম্বী সাবেক গোয়েন্দা প্রধান জামিল আল সায়িদ। এবারে নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৪৯.২ শতাংশ। নয় বছর আগের নির্বাচনে ভোট দিয়েছিল ৫৪ শতাংশ ভোটার।
সূত্র: রয়টার্স
এমজে/
আরও পড়ুন