প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর হামলার আশঙ্কা বাড়ছে
প্রকাশিত : ১৪:৪২, ২৬ জুন ২০১৮ | আপডেট: ১৬:৩৪, ২৬ জুন ২০১৮
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর যে মাওবাদী হামলা হতে পারে, সে আশঙ্কায় সতর্কবার্তা জারি হয়েছিল আগেই। এবার বিভিন্ন রাজ্যের কাছে পাঠানো বিশেষ বার্তায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়ে দিল, প্রধানমন্ত্রীর উপর হামলার আশঙ্কা ‘চরম পর্যায়ে’পৌঁছেছে। তাঁর সুরক্ষা বলয় আরও জোরদার করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায় থাকা স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ বা এসপিজি-র ছাড়পত্র না মিললে, মোদীর ধারে কাছে সরকারি অধিকারিকরা তো বটেই, যেতে পারবেন না মন্ত্রীরাও।
কিন্তু হামলার ছক কাদের? এ নিয়ে সরাসরি কিছু জানায়নি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বলা হয়েছে, ‘অজানা হুমকি’র কথা। যদিও এই মাসের প্রথম দিকেই নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই(মাওবাদী)-র সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগে মুম্বই, নাগপুর ও দিল্লিতে ধরপাকড় চালিয়ে ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে ছিলেন দলিত নেতা সুধীর ধাওয়ালে, আইনজীবী সুরেন্দ্র গ্যাডলিং, মহেশ রাউত, সোমা সেন ও রোনা উইলসন।
পুণে পুলিশ দাবি করেছিল, মোদীর উপর হামলার ছকের কথা রোনা উইলসনের বাড়ি থেকে পাওয়া গোপন এক চিঠি থেকে জানা গিয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছিল, ‘‘দেশের ১৫ টি রাজ্যে বিজেপি ভালই সরকার চালাচ্ছে। যদি ওরা এ ভাবে এগোয়, তা হলে আমাদের পক্ষে বিপদের কারণ হয়ে উঠবে। তাই মোদী যুগের অবসান ঘটানো দরকার।’’ সেই চিঠির উপর ভিত্তি করে পুণে পুলিশ দাবি করেছিল, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গাঁধীকে যে ভাবে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন করে দেওয়া হয়েছিল, ঠিক সে ভাবেই মাওবাদীরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপরেও হামলার চেষ্টা করছে। বিরোধীরা পুণে পুলিশের এই দাবিকে ‘আষাঢ়ে গল্প’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিল ঠিকই, কিন্তু নিরাপত্তায় ফাঁক রাখতে রাজি নয় এসপিজি।
মোদীর জন্য তৈরি করা সুরক্ষা নীতিতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাওয়ার আগে সরকারি আধিকারিকদের তল্লাশি চালানো হবে। তল্লাশির হাত থেকে রেহাই মিলবে না মন্ত্রীদেরও। এগিয়ে আসছে লোকসভা নির্বাচন। গত নির্বাচনে একাধিক রোড শো করে প্রচারে ঝড় তুলেছিলেন মোদী। কিন্তু ‘অজানা হুমকি’ থাকায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক চাইছে, রোড শো থেকে মোদীকে দূরে রাখতে। নইলে বিপদ হতে পারে।
কয়েক দিনের মধ্যেঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, পঞ্জাব সফরে যেতে পারেন নরেন্দ্রে মোদী। তার আগে মোদীর নিরাপত্তা ফাঁকফোকর দূর করতে গিয়ে ঘুম ছুটেছে এসপিজি-র।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
এমজে/
আরও পড়ুন