ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

থাইল্যান্ডে গুহায় আটক ফুটবলারদের উদ্ধারে অভিযান শুরু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৩২, ৮ জুলাই ২০১৮

থাইল্যান্ডের একটি গুহায় আটকে পরা ১২ কিশোর ফুটবলার আর তাদের কোচকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে থাইল্যান্ডের উদ্ধারকারী দল। গত দুই সপ্তাহ আগে গুহায় বেড়াতে গিয়ে আটকে পরাদের উদ্ধারে বিশেষ এক দল আজ রোববার সকাল থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে।

উদ্ধার অভিযানের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে থাই কর্তৃপক্ষ জানায়, আটকে পরাদের মধ্যে থেকে প্রথম জনকে বের করে আনতে ১১ ঘন্টা সময় লাগতে পারে।

১৩ জন বিদেশী ডুবুরি এবং থাইল্যান্ডের রাজকীয় নেভির পাঁচজন সিল সদস্য থাকছেন এই বিশেষ উদ্ধারকারী দলে। তারা গুহার ভেতরে এমন এক জায়গা থেকে আটকে পরাদের উদ্ধার করবেন যেখানে সাতরে যেতে হবে। মূলত মৌসুমী বর্ষার কারণে গুহা মুখ থেকে ঐ স্থানে যাওয়ার পথের একটি বড় অংশে পানি জমে আছে। আর পানি জমা এই অংশটি বেশ সরু। এই জায়গা পাড়ি দিতে একজন দক্ষ সাতারু হতে হবে। গত সপ্তাহে আটকে পরাদের মাঝে অক্সিজেন সরবরাহ করতে গিয়ে মারা যান থাই নেভী সিলের সাবেক এক ডুবুরি।

উদ্ধার অভিযানের প্রধান নারোংসাক অসট্টানাকর্ণ জানান, “আজ ডি-ডে। স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় ১৩ জন বিদেশী ডুবুরি এবং পাঁচ জন থাই নেভী সিল সদস্যদের একটি দল শিশুদের উদ্ধারে গুহায় প্রবেশ করে”। তিনি জানান, আজ রাত ৯টায় প্রথম শিশুকে উদ্ধার করে গুহা থেকে বের করে আনা হতে পারে।

থাইল্যান্ডের দক্ষিণের প্রদেশ চিয়াং রাই এর থাম লুয়াং গুহায় প্রায় দুই সপ্তাহ আগে পথ হারিয়ে আটকে পরেছিল কোচ সমেত কিশোর ফুটবলাররা। উদ্ধারকারী দল এর আগে বলেছিল যে, তাদেরকে উদ্ধারে বন্যা থামার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আর এর জন্য সময় লাগতে পারে ছয় মাস। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের উদ্ধারে এমন এক সময়ে চূড়ান্ত অভিযান করা হচ্ছে যার ২৪ ঘন্টা আগেও ভারী বর্ষণ হয় থাম লুয়াং গুহার এলাকায়।

প্রদেশটির গভর্নর এই উদ্ধার অভিযানকে ‘পানি ও সময়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ বলে আখ্যায়িত করেন। উদ্ধারের পর শিশুদের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে গুহার বাইরে মেডিকেল ইউনিট, অ্যাম্বুলেন্স এবং হেলিকপ্টার অপেক্ষা করছে।

আটকে পরা শিশুদের বয়স ১১ থেকে ১৬ বছরের মধ্যে। আর কোচের বয়স ২৫ বছর। গত ২৩ জুন তারা ঐ গুহায় আটকে পরে।

সূত্রঃ রয়টার্স

//এস এইচ এস//

 

 

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি