কেরালায় বন্যা: আমিরাতের সাহায্য ফিরিয়ে দিলো ভারত
প্রকাশিত : ২১:৫৪, ২২ আগস্ট ২০১৮
বিধ্বংসী বন্যায় বিপর্যস্ত দক্ষিণ ভারতের কেরালার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত যে, ৭০০ কোটি রুপি আর্থিক সহায়তা করতে চেয়েছিল, ভারত সরকার তা ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সরকারিভাবে সে কথা ঘোষণা করা না-হলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সূত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, গত প্রায় দেড় দশক ধরে বিদেশি সাহায্য গ্রহণের ক্ষেত্রে ভারতের যে নীতি- তা অনুযায়ী এই সহায়তা নেওয়া সম্ভব নয়।
আমিরাতের জনসংখ্যার একটা বড় অংশ কেরালা থেকে যাওয়া লোকজন। তাই ভারতের ওই ভূখণ্ডের সঙ্গে তাদের বিশেষ সম্পর্কের সুবাদে তারা বিপুল অঙ্কের সাহায্য দিতে চেয়েছিল।
তা ছাড়া কেরালার পুনর্গঠনে এখন প্রচুর অর্থের দরকার। তা সত্ত্বেও কেন ভারত ওই সহায়তা নিচ্ছে না, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
প্রায় ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যায় কেরালায় শুধু শত শত প্রাণহানিই হয়নি, লাখ লাখ মানুষের ঘরবাড়ি ভেসে গেছে- প্রায় পুরো রাজ্যের অবকাঠামোও ভেঙে পড়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুবাই, আবুধাবি, শারজার মতো শহরগুলি গড়ে তোলার পেছনে এই কেরালার মানুষদের অবদান প্রচুর - আর তার স্বীকৃতিতেই আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ মোহামেদ কেরালার বন্যাত্রাণে সাতশ কোটি রুপির সমপরিমাণ অর্থ দিতে চেয়েছিলেন।
কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন নিজেই এ কথা জানান, কিন্তু আমিরাতের প্রস্তাব আসলে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে দ্বিধায় ফেলে দেয়।
ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় কেরালার প্রতিনিধি, পর্যটনমন্ত্রী কে জে আলফানসো এ খবর জানার পর বিবিসিকে বলেন, "আমিরাত যেরকম দরাজভাবে সহায়তা করতে চেয়েছে তা অবশ্যই স্বাগত, তাদের ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু এই বিদেশি সাহায্য নেওয়া যাবে কি না, তা কেন্দ্রীয় সরকারই ঠিক করবে।"
ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমিরাত কর্তৃপক্ষকে টুইটারে ধন্যবাদ জানান, কিন্তু পাশাপাশি ভারত সরকার এই সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলে যে, শুধু আমিরাত নয় - মালদ্বীপের মতো ছোট দেশগুলোও কেরালার জন্য যে সাহায্য করতে চেয়েছে তার সবই ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
এদিন দিল্লিতে থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতও টুইট করে জানান যে ভারত আসলে কেরালার জন্য কোনও বিদেশি সাহায্য নিতে চাইছে না।
সূত্র: বিবিসি।
এমএইচ/ এসএইচ/
আরও পড়ুন