এবার পোপ ফ্রান্সিসের পদত্যাগ দাবি
প্রকাশিত : ১০:৩০, ২৭ আগস্ট ২০১৮ | আপডেট: ১১:২৩, ২৭ আগস্ট ২০১৮
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক আর্চবিশপ থিওডর ম্যাককারিকের যৌন কেলেংকারিকে ‘থামাচাপ’ দেওয়ার অভিযোগে পোপ ফ্রান্সিসের পদত্যাগ দাবি করেছেন এক জ্যেষ্ঠ্য ক্যাথলিক ধর্মীয় নেতা। ফ্রান্সিসকে জানানোর পরেও কোন পদক্ষেপ নেননি বলে অভিযোগ করে এই পদত্যাগ চেয়েছেন আর্চবিশপ কার্লো মারিয়া ভিজানো।
ক্যাথলিক ধর্মগুরুদের দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এমন ভুক্তভোগীদের সাথে সাক্ষাতের জন্য দুই দিনের আয়ারল্যান্ড সফর শেষে এমন অভিযোগের মুখোমুখি হতে হলো পোপ ফ্রান্সিসকে। ১১ পৃষ্ঠার লিখিত বক্তব্যে ফিজানো অভিযোগ করেন যে, থিওডরের বিরুদ্ধে আগেই ব্যবস্থা নিয়েছিলেন সাবেক পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট। তবে সেসময় থিওডরকে বাঁচিয়ে নেন ফ্রান্সিস।
ভিজানো আরও অভিযোগ করেন যে, ২০১৩ সালে ব্যক্তিগতভাবে ফ্রান্সিসকে থিওডরের ‘অপকর্মে’র কথা জানিয়েছিলেন তিনি। তবে থিওডরের বিষয়ে বরাবরই ‘নিশ্চুপ’ ছিলেন ফ্রান্সিস।
এসময় ফ্রান্সিসের পদত্যাগ চেয়ে ভিজানো বলেন, “বিশ্বের চার্চগুলোর জন্য যখন বিশেষ নাটকীয় অবস্থা বিরাজ করছে তখন তাঁকে (ফ্রান্সিস) অবশ্যই তাঁর ভুল স্বীকার করতে হবে। আর যে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে তার সাথে সংগতি রেখে পোপ ফ্রান্সিসের উচিত এক আদর্শ উদাহরণ প্রতিষ্ঠা করা এবং যারা যারা ম্যাককারিকের অপকর্মে পর্দা দিয়েছেন তাদের সবাইকে নিয়ে পদত্যাগ করা”।
তবে ৭৭ বছর বয়সী এই আর্চবিশপের অভিযোগের বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি পোপ ফ্রান্সিস। আয়ারল্যান্ড থেকে রোম ফেরার পথে বিমানে এ বিষয়ে সাংবাদিকেরা ফ্রান্সিসের কাছে জানতে চাইলে কোন ধরণের মন্তব্য করতে রাজি হননি পোপ।
তবে ভিজানোর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাংবাদিকদেরই বিচার করার আহ্বান জানান ফ্রান্সিস। এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে আপনাকে এবং আপনারা যারা সবাই এই বিষয়ে আগ্রহী তাদেরকে বিনয়ের সাথে আমি বলতে চাই যে, বক্তব্যটি ভালো করে পড়ুন এবং নিজেরাই বিচার করুন। আমি এই বিষয়ে একটি শব্দও বলব না। আমার মনে হয় ঐ বক্তব্য নিজে থেকেই সব বলে দেয়”।
তিনি আরও বলেন, “আপনাদের যথেষ্ট সাংবাদিকীয় পাণ্ডিত্য আছে উপসংহার লেখার জন্য। আমি কথা বলার থেকে কিছু সময় অতিবাহিত হলে আপনারা নিজেরাই তা পেয়ে যাবেন”।
সূত্রঃ বিবিসি, আল জাজিরা
//এস এইচ এস//
আরও পড়ুন