গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করছে মিয়ানমার : জাতিসংঘ
প্রকাশিত : ১১:৪৬, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও সরকার একজোট হয়ে স্বাধীন সাংবাদমাধ্যমের পথ রুদ্ধ করছে বলে মনে করছে জাতিসংঘ। তাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অস্পষ্ট আইনে বহু সাংবাদিককে গ্রেফতার বা বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ সংস্থাটির।
সাম্প্রতিক সময়ে রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে সাজা দেওয়ার ঘটনাসহ পাঁচটি ঘটনা পর্যালোচনা করে মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন।
মঙ্গলবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে মানবাধিকার কমিশনের মুখপাত্র রাভিনা শ্যামদাসানি বলেন, মিয়ানমারে আইন ও আদালতকে ব্যবহার করে সরকার ও সেনাবাহিনী সংবাদপত্রের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে যে রাজনৈতিক আক্রমণ চালাচ্ছে, এই প্রতিবেদন সেটাই বলছে।
তিনি বলেন, মিয়ানমারে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইনের পাশাপাশি টেলিযোগাযোগ এবং আমদানি-রপ্তানি বিষয়ক আইনও সাংবাদিকদের হয়রানির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে।
মত প্রকাশের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন করে মিয়ানমারে কীভাবে গ্রেফতার-হয়রানি চালানো হচ্ছে, তার বিস্তারিত বিবরণ ওই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
এদিকে রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে মুক্তি দিতে আন্তর্জাতিক আহ্বান উপেক্ষা করে মিয়ানমার বলে আসছে, আদালত আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে ওই রায় দিয়েছে।
মিয়ানমারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মিন্ট কিয়াও জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদনের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিপীড়নের তথ্য সংগ্রহের সময় গ্রেপ্তার হয় রয়টার্সের সাংবাদিক ওয়া লোন (৩২) ও কিয়াও সো ওকে (২৮) ।
গত ৩ সেপ্টেম্বর ঔপনিবেশিক আমলের রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয় ইয়াংগনের একটি আদালত।
রাখাইনের সেনা অভিযানের সময় ইনদিন গ্রামে ১০ রোহিঙ্গাকে হত্যা করে লাশ পুঁতে ফেলার একটি ঘটনা বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছিলেন ওই দুই সাংবাদিক।
এদিকে মিয়ানমারে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা সঙ্কুচিত হওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে নোবেল বিজয়ী অং সান সু চির অধীনে থাকা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
এমএইচ/ এআর
আরও পড়ুন