ফিলিপাইনের পর মাংখুটের তাণ্ডব চীন-হংকংয়ে, নিহত ৬৬
প্রকাশিত : ১০:৫৬, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮
প্রলয়ঙ্কারী টাইফুন মাংখুট ফিলিপাইনকে লন্ডভণ্ড করার পর এবার চীন ও হংকংয়ে আঘাত হেনেছে। চীনের দক্ষিণাঞ্চলে মাংখুটের আঘাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দু’জন নিহত হয়েছেন। আর ফিলিপাইনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
প্রশান্ত মহাসাগর থেকে উঠে আসা টাইফুন মাংখুট গত কয়েক দশকের মধ্যে এই অঞ্চলে সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড়গুলোর মধ্যে অন্যতম।
চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ গুয়ানদংয়ে মাংখুটের আঘাতে দু’জন নিহত হয়েছে। এছাড়া এর কবল থেকে বাঁচাতে গুয়াংদন এবং হাইনান দ্বীপ থেকে ২৫ লাখের বেশি মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। রোববার বিকেল নাগাদ এটি চীনের উপকূলে আঘাত হানে।
এছাড়া সুপার টাইফুন মাংখুটের কবলে পড়ে হংকংয়ের অনেক ভবন ধসে পড়েছে এবং শহরটি প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। প্রধান প্রধান সড়ক বন্ধ, ট্রেন চলাচল স্থগিত এবং ফ্লাইট বাতিলের মধ্যে দিয়ে শহরটির যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরো বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার ফিলিপাইনে আঘাত হানে মাংখুট। শেষ খবর পাওয়া ফিলিপাইনে ৬৪ জন নিহত হয়েছেন।
ফিলিপাইনে আঘাত হেনে তাণ্ডব চালিয়ে ৬৪ জনের প্রাণহানি ঘটিয়ে চীনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানে। এতে ভূমিধসের ঘটনাও ঘটেছে বলে দেশটির আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রলয়ংকারী এ ঘুর্নিঝড়টি প্রশান্ত মহাসাগর থেকে উঠে এসেছে। বর্তমানে অবস্থান করছে ফিলিপাইন, চীন ও হংকংয়ে। এ পর্যন্ত ৬৬ জনের প্রাণহানির খবর দিয়েছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম। আলজাজিরা জানিয়েছে, এর মধ্যে ফিলিপাইনেই মারা গেছেন ৬৪ জন। আর চীনে দুজন নিহতের তথ্য দিয়েছে বার্তা সংস্থা থমসন রয়টার্স।
ম্যাংখুট বর্তমানে চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় এলাকায় অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিজিটিএন। সেখানে ১০০ কিলোমিটার গতিবেগে ঘূর্ণিঝড় বইছে।
চীনের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সোমবার দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ গুয়াংদং-এ ঘূর্ণিঝড়ের পাশাপাশি ভারি বর্ষণে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। লাখ লাখ মানুষকে তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদে সরে যেতে হয়েছে।
ধীরে ধীরে এটি ‘গ্রীষ্মকালীন ঝড়ে’ রূপ নিচ্ছে। সোমবার ভোর ৬টায় গুয়াংজি প্রদেশের হেংজিয়ান এলাকায় অবস্থান করছে বলে জানায় দেশটির আবহাওয়া দপ্তর। সোমবার দিনের মধ্যে এটি গুইজোউ, চংকিং ও ইউনান প্রদেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
সূত্র : আলজাজিরা।
/ এআর /
আরও পড়ুন