‘সৌদি আরবকে কাতারের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে’
প্রকাশিত : ১১:৩৩, ২৮ অক্টোবর ২০১৮
কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের যে আগ্রহ সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান দেখিয়েছেন তার তীব্র সমালোচনা করেছেন কাতারের উপ প্রধানমন্ত্রী খালিদ আল-আতিয়া।
তিনি বলেন, তার দেশের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপকারী সৌদি আরব, মিশর, বাহরাইন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে দোহার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
তিনি শনিবার দোহায় ‘পারস্য উপসাগরে উত্তেজনা: ফলাফল ও করণীয়’ শীর্ষক এক বৈঠকে বলেন, কাতারের জনগণের মধ্যে প্রবল ঐক্য এবং বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার তড়িৎ পদক্ষেপের ফলে কাতারের বিরুদ্ধে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন অবরোধ ব্যর্থ হয়েছে।
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান গত মঙ্গলবার রিয়াদ অনুষ্ঠিত ‘মরুভূমির ডেভোস’ শীর্ষক বিনিয়োগ সম্মেলনে দেওয়া বক্তৃতায় কাতারের সঙ্গে আবার সম্পর্ক স্থাপনের আগ্রহ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, সৌদি আরবের সঙ্গে মতবিরোধ থাকা সত্ত্বেও কাতারে একটি শক্তিশালী অর্থনীতি রয়েছে এবং দেশটি আগামী পাঁচ বছরে অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
সৌদি যুবরাজের ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা রাজতন্ত্র বিরোধী সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যা করার কারণে মোহাম্মাদ বিন সালমান যখন প্রবল আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রয়েছেন তখন এ বক্তব্য দিলেন তিনি।
তার এ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কাতারের উপ প্রধানমন্ত্রী খালিদ আল-আতিয়া আরো বলেন, তার দেশ সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন দেশগুলোর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ কাটিয়ে উঠেছে।
কিন্তু এ অবরোধ কাতারের জনগণের দৈনন্দিন জীবনের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে যা কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে।
সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহররাইন ও মিশর ২০১৭ সালের জুন মাসে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন কথিত আরব জোটে যোগ দিতে অস্বীকার করায় দোহার বিরুদ্ধে ওই ব্যবস্থা নেয় রিয়াদ।
সম্পর্ক ছিন্ন করার পাশাপাশি জল, স্থল ও আকাশপথে কাতারের ওপর অবরোধ আরোপ করে ওই চার দেশ যা এখনো বহাল রয়েছে।
তথ্যসূত্র: পার্সটুডে
এমএইচ/
আরও পড়ুন