‘কাতারকে হতাশ করেছে রাশিয়া ও সৌদি আরব’
প্রকাশিত : ০৮:৪৪, ৪ ডিসেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ০৮:৪৫, ৪ ডিসেম্বর ২০১৮
রাশিয়া ও সৌদি আরব তেলের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বাড়িয়ে দিয়ে কাতারকে হতাশ করেছে বলে মন্তব্য করেছে ইরান। তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংস্থা- ওপেক থেকে কাতার নিজের বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার পর এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় একথা বলেছে তেহরান।
আগামী মাসে কাতার ওপেক থেকে বেরিয়ে যাবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। সোমবার কাতারের জ্বালানীমন্ত্রী সা`দ আল-কা`বি ওপেক থেকে তার দেশের বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।গতমাসে কাতার ছয় লাখ ১০ হাজার ব্যারেল তেল উত্তোলন করেছিল যা ওপেকের মোট উৎপাদনের শতকরা দুই ভাগ।
ওপেকে নিযুক্ত ইরানের প্রতিনিধি হোসেইন কাজেমপুর আরদেবিলি এ সম্পর্কে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘কাতার হতাশ হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং আমরা এই হতাশা উপলব্ধি করি। ওপেকের বহু সদস্য সৌদি আরব ও রাশিয়ার পক্ষ থেকে তেল উৎপাদন বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে হতাশ হয়েছে। ওই দুই দেশ গত মে মাস থেকে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় তেলের উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়ে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৩০ ডলার কমিয়ে দিয়েছে।’
ইরানের প্রতিনিধি বলেন, এখন রাশিয়া ও সৌদি আরব তেলের দাম বাড়ানোর জন্য ওপেকের বাকি সদস্যদের তেলের উৎপাদন কমাতে বলছে। আরদেবিলি বলেন, যারা অতিরিক্ত তেল উত্তোলন করছে কমাতে হলে তাদের কমানো উচিত। ওপেকভুক্ত ও ওপেকের বাইরের তেল রপ্তানিকারক ২৫ দেশই মস্কো ও রিয়াদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এসময় ওপেককে একটি বিমানের সাথে তুলনা করে আরদেবিলি বলেন, ‘পাইলট ও কো-পাইলট (রাশিয়া ও সৌদি) ওপেক নামক বিমানটি ভূপাতিত করে দিয়েছে এবং এর ২৫ আরোহীর সবাই এখন সংকটজনক অবস্থায় রয়েছে।’
তথ্যসূত্র: পার্সটুডে
এমএইচ/
আরও পড়ুন