জঙ্গি হামলার পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের বিরোধ চরমে
প্রকাশিত : ০৯:২১, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | আপডেট: ১৮:৪৯, ২৮ মার্চ ২০১৭
উরি সেনা ঘাটিতে জঙ্গি হামলার পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের বিরোধ চরমে। দুই দেশই সেনা সমাবেশ ও অস্ত্রের মজুদ বাড়িয়েছে। চলছে যুদ্ধ বিমানের মহড়াও। তর্ক যুদ্ধে সামিল দুই দেশের সরকার প্রধানরা। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সংক্ষিপ্ত হোক বা দীর্ঘমেয়াদী- যুদ্ধের পথেই এগুচ্ছে চীরবৈরি দু’ দেশ। জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের দ্বন্দ্ব শুরু থেকেই। তবে সম্প্রতি সেনা অভিযানে হিজবুল কমান্ডার বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর উত্তাল হয়ে ওঠে কাশ্মির। আর গেল ১৮ই সেপ্টেম্বর ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরের উরি সেনাঘাঁটিতে জঙ্গি হামলায় ১৭ সেনা নিহতের পর দু’দেশের সম্পর্কের চরম অবণতি হয়। কুটনৈতিক লড়াইয়ে পরষ্পরকে কোনঠাসা করার চেষ্টা চলছে। জাতিসংঘের ৭১তম সাধারণ অধিবেশনে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র অ্যাখ্যা দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রতি কেরালায় দেয়া ভাষণেও পাকিস্তানের প্রতি কড়া হুশিয়ারি দেন তিনি। আর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফও বসে নেই। উরি হামলার জন্য ভারতীয়দের নির্যাতন-নিপীড়নকে দায়ী করেন তিনি। এদিকে উরি হামলার পর থেকেই সীমান্তে যুদ্ধাবস্থা। ভারতীয় সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে সেনা সংখ্যা ও অস্ত্রের মজুদ। পাকিস্তানও যুদ্ধ বিমানের মহড়া চালাচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ধরনের সামরিক সাজসজ্জা দু’ দেশের মধ্যে সংক্ষিপ্ত বা দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধেরই ইঙ্গিত। অন্যদিকে চীরবৈরি দু’ দেশের চলমান উত্তেজনায় যোগ দিচ্ছে আন্তর্জাতিক মহলও। এরইমধ্যে চীন, পাকিস্তানকে আর যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে সমর্থন দিচ্ছে বলে সংবাদ মাধ্যমের খবর। কাশ্মীর নিয়েই ১৯৪৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিনবার যুদ্ধে জড়িয়েছে ভারত ও পাকিস্তান।
আরও পড়ুন