ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য যুদ্ধ আরও জোরদার

প্রকাশিত : ১২:৪৭, ১০ মে ২০১৯

চীনের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য বিরোধের জের ধরে দেশটির প্রায় দুশো বিলিয়ন ডলারের পণ্যের ওপর শুল্ক আরও বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে প্রায় ২৫ শতাংশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর জবাবে পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বেইজিং।

যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপ এমন সময় এলো, যখন উভয় দেশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা একটি চুক্তির জন্য ওয়াশিংটনে চেষ্টা চালানোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছিলেন।

সাম্প্রতিক সময়ে দেশ দুটি কয়েক মাসের বিরোধের অবসানের কাছাকাছি পৌঁছেছিলো বলে ধারণা করা হচ্ছিলো। চীন এখন বলছে, তারা শিগগিরই পাল্টা পদক্ষেপ নেবে।

চীন কিভাবে জবাব দিতে পারে?

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের জবাবে পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছিলো চীন। দেশ দুটির মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের মধ্যে যেমন অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে তেমনি বিশ্ব অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলেছে।

তবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে কারণ ডোনাল্ড ট্রাম্প ৩২৫ বিলিয়ন ডলারের চীনা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন।

ওদিকে দেশ দুটির মধ্যে বাণিজ্য আলোচনাও চলছে। বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বলেছেন, তিনি চীনা প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে একটি চমৎকার চিঠি পেয়েছেন এবং হয়তো ফোনে কথা বলবেন।

হোয়াইট হাউজের একজন মুখপাত্র বলেছেন, শুক্রবার আলোচনা শুরুর জন্য চীনা ভাইস প্রিমিয়ারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা একমত হয়েছেন।

শুল্ক বাড়ানোর প্রভাব কেমন হবে?

দুশো বিলিয়ন ডলারের চীনা পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক এ বছরের শুরুতেই হওয়ার কথা ছিলো। আলোচনা চলার কারণে সেটা বিলম্বিত হয়েছে তবে। ট্রাম্প এখন বলছেন, আলোচনার গতি অত্যন্ত ধীর।

যদিও ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির ওপর এর প্রভাব কেমন তা কিছুটা এড়িয়ে গেছেন কিন্তু কিছু আমেরিকান কোম্পানি ও ক্রেতাদের জন্য শুল্ক বাড়ানোটা একটা ধাক্কার মতো বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এশিয়ান ট্রেড সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক ডেবোরাহ এলমস বলছেন, ‘এটা অর্থনীতিতে একটা বড় ধাক্কা দিতে যাচ্ছে’।

আলোচনায় কেমন প্রভাব ফেলবে?

হোয়াইট হাউজের একজন উপদেষ্টা ক্লিটি উইলেমস বলছেন, শুল্ক বাড়ানোটাই শেষ খেলা নয়। তবে তিনি আশা করেছেন দু’পক্ষই আলোচনা অব্যাহত রাখবে। সাম্প্রতিক সময়ে আলোচনায় অগ্রগতি হচ্ছিলো বলেও মনে করা হচ্ছিলো।

গত ডিসেম্বরে একটি যুদ্ধ বিরতিতে একমত হওয়ার পর এটাই প্রথম আলোচনা ছিলো। এবারের আলোচনায় ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি প্রটেকশনের বিষয়টিও উঠে এসেছে বলে জানা যাচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, চীন আলোচনায় আগ্রহী কারণ এ সমস্যা সমাধানের গুরুত্ব তারা স্বীকার করে। চীন প্রায়শই ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষোভের টার্গেট হয়, বিশেষ করে বাণিজ্য বৈষম্য নিয়ে।

যদিও চীনে একটি অংশ মনে করে দেশটির উত্থানকে খর্ব করার জন্যই পশ্চিমারা এ বাণিজ্য যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছে।

দু’পক্ষই ইতোমধ্যেই বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্যের ওপর শুল্ক চাপিয়েছে।

সূত্র: বিবিসি

একে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি