সাপ্তাহিক ছুটির দিনটি হাসপাতালে কাটাই: ভুটানের প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত : ১২:১৩, ১১ মে ২০১৯ | আপডেট: ১২:১৪, ১১ মে ২০১৯
হিমালয়ের পাদদেশের সুখী মানুষদের ছোট্ট একটি দেশ ভুটান। সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং। ছুটির দিনে অন্যসব চিকিৎসকরা যেখানে বিভিন্ন খেলাধুলা বা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান সেখানে ছুটির দিনে তিনি রোগী দেখেন।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং বলেন, কেউ গলফ খেলে, কেউ খেলে আর্চারি। আর আমি পছন্দ করি রোগীর অপারেশন করতে। এ কারণেই সাপ্তাহিক ছুটির দিনটি আমি হাসপাতালে কাটাই।
সপ্তাহের অন্যান্য দিন রাষ্ট্রীয় কাজে ব্যস্ত থাকেন বলে শনিবার ছুটির দিনে তিনি রোগী দেখতে ব্যস্ত থাকেন আর বৃহস্পতিবার ইন্টার্নি করেন, পরামর্শ দেন চিকিৎসকদের।
শেরিং বলেন, `এটি আমার ওপর (রাষ্ট্রীয়) চাপ কমাতে সহায়তা করে।`
বাংলাদেশে ডাক্তারি পড়া ভুটানের এ প্রধানমন্ত্রী বলেন, `আমৃত্যু আমি এভাবেই সেবা দিয়ে যেতে চাই এবং প্রতিদিন কেন পারিনা তা নিয়ে আমার অনুশোচনা হয়’।
শেরিংয়ের ৪০ বছর বয়সী রোগী বুমথাপ হাসপাতালে থাকাবস্থাতেই জানান, চিকিৎসার ফলাফলে আমি সন্তুষ্ট। প্রধানমন্ত্রী নিজেই আমার অপারেশন করেছেন এবং তাকে দেশের সেরা ডাক্তারদের একজন বলে মনে করা হয়। এ জন্য আমি আরও বেশি স্বস্তি বোধ করছি।
রাজধানী থিম্পুর রাস্তায় কোনো ধরনের নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া লোটে শেরিং যখন নিজেই গাড়ি চালিয়ে যান, সবাইকে তখন তিনি আপন মানুষ বলেই মনে করেন। তার কথায়, `যখন আমি গাড়ি চালিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে বের হই, আমার মনে হয় বামে একটু ঘুরলেই আমি হাসপাতালে চলে যেতে পারব।`
মাত্র সাড়ে সাত লাখ জনসংখ্যার দেশটিতে ২০০৮ সালে রাজার একচ্ছত্র ক্ষমতার অবসানের পর তৃতীয় গণতান্ত্রিক নির্বাচনে ৫০ বছর বয়সী লোটে শেরিং প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।
সূত্র: এএফপি
আরও পড়ুন