তেল ট্যাংকারে হামলা নিয়ে ইরানকে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদির হুশিয়ারি
প্রকাশিত : ১৩:৩৬, ১৬ জুন ২০১৯
সম্প্রতি ওমান উপসাগরে তেলবাহী দুটি জাহাজে হামলার ঘটনায় ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে। সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্র এ হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করেছে।
আর ইরান দায়ী করছে সৌদি আরবকে। এ নিয়ে শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে দায়ী করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজকে স্বাক্ষৎকার দিয়েছেন।
অন্যদিকে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান এ বিষয়ে ইরানকে সতর্ক করে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। শনিবার রাতে সংবাদ মাধ্যম আশরাক আল-আওসাত’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব মন্তব্য করেন সৌদি যুবরাজ।
গত বৃহস্পতিবার ওমান উপসাগরে তেলবাহী দুটি জাহাজে হামলা করা হয়। এর একমাস আগে আরব আমিরাতের একটি বিমানে হামলাও করা হয়েছিল।
সৌদি যুবরাজ আশরাক আল আওশাতকে বলেন, ‘আমরা চাই না এ জন্য ইরানের সাথে আমাদের যুদ্ধ হোক। তবে আমাদের সার্বভৌমত্বের উপর, আমাদের জনগণের উপর এবং আঞ্চলিক হুমকির কাজ করা হলে আমরা এর সমুচিত জবাব দিব।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইরানের তেহরানে সম্প্রতি জাপানের প্রধানমন্ত্রী সফরে এসেছিলেন তখন ইরান তাকে যথাযথ সম্মান জানায়নি। কেননা তিনি ট্যাংকারে হামলার বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন। এই ট্যাংকারের একটি জাপানের।’
সৌদি জ্বালানি মন্ত্রী খালিদ আল ফালাহ এটাকে দ্রুত ও নিষ্পতিমূলক বলে আহবান জানিয়েছেন। বিশ্বের বৃহত্তম আন্তর্জাতিক শিপিং অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান শনিবার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তাদের জাহাজকে হরমুজ এবং ওমান উপসাগরীয় অঞ্চলের প্রবেশপথের আক্রমণের ফলে জাহাজগুলোকে প্রবেশের আদেশ দেয়া হয়নি।’
বিআইএমসিও’র সামুদ্রিক নিরাপত্তা প্রধান জাকব লারসেন বিবিসিকে বলেন, ‘পরিস্থিতি খারাপ হলে সেনা সংগঠিত করা যেতে পারে।’
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের টিভি চ্যানেল ফক্স নিউজকে এক সাক্ষাতকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘মার্কিন সেনাবাহিনীর হাতে থাকা একটি ভিডিওতে স্পষ্টভাবে দেখা যায় যে, হামলার শিকার তেল ট্যাংকার থেকে একটি অবিস্ফোরিত মাইন সরিয়ে নিয়েছে ইরানি নৌ সেনারা।‘ তবে উত্তেজনা সত্ত্বেও ইরানের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত আছেন বলে জানান তিনি।
ফক্স নিউজকে দেয়া ওই সাক্ষাতকারে ট্রাম্প বলেন, ‘তাদেরকে অনেক ভালোভাবেই জোর দিয়ে বলা হয়েছে যে, আমরা তাদেরকে আলোচনার টেবিলে ফিরে পেতে চাই। এটা তারা জানেন। তারা যখনই প্রস্তুত হবে, আমরাও প্রস্তুত থাকব। তারা যখনই প্রস্তুত হবে, তখনই আলোচনা হবে। কোনো তাড়াহুড়ো নেই।’
উল্লেখ্য, গত মে মাসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। দেশটির প্রধান খাত তেল খাতে নজর দেয় মার্কিন প্রশাসন। সে সময় পরমাণু চুক্তির কিছু বিষয়কে স্থগিত করে ইরান। ইরান তখন ঘোষণা করেছিল যে পরমাণু চুক্তির অধীনে কিছু অঙ্গীকার স্থগিত থাকবে।
সূত্র: বিবিসি ও দ্যা গার্ডিয়ান
এমএস/
আরও পড়ুন