ঢাকা, শুক্রবার   ১৫ নভেম্বর ২০২৪

পাকিস্তানি যে ডুবোজাহাজ নিয়ে আতঙ্কে ছিল ভারত

প্রকাশিত : ১৫:১০, ২৪ জুন ২০১৯

পুলওয়ামা-বালাকোটের আগে পাকিস্তানি পিএনএস-সাড নামের একটি ডুবোজাহাজ দিল্লিকে রীতিমতো দুশ্চিন্তায় ফেলেছে। ভারতীয় নৌবাহিনী রীতিমতো দুশ্চিন্তায় পড়েছিল বলে জানা যায়। পুলওয়ামা হামলার পরে সেনা বাহিনী ও বিমান বাহিনী সাথে নৌবাহিনীও জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিয়েছিল।

সে সময় যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিক্রমাদিত্যসহ ৬০টি যুদ্ধজাহাজকে উত্তর আরব সাগরে মোতায়েন করা হয়। পাকিস্তানি জলসীমার কাছে সক্রিয় হয় পরমাণু অস্ত্রবাহী ডুবোজাহাজ আইএনএস চক্র।

ভারতীয় নৌবাহিনী সূত্রের মতে, এতে ঘাবড়ে যায় পাকিস্তান। পুলওয়ামা হামলার জবাব দিতে ভারত নৌবাহিনীকে ব্যবহার করতে পারে বলে মনে করেছিল ইসলামাবাদ।

ঐ সময়ে পাকিস্তানি জলসীমার মধ্য থেকে হঠাৎ উধাও হয়ে যায় সে দেশের ডুবোজাহাজ পিএনএস-সাড। নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, অগুস্তা শ্রেণির ওই ডুবোজাহাজে এয়ার ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রপালসন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। তাই অন্য ডুবোজাহাজের তুলনায় অনেক বেশি সময় জলের নীচে থাকতে পারে সাড।

তবে ভারতীয় গোয়েন্দারা জানান, করাচির কাছে যে এলাকা থেকে সাড উধাও হয়েছে সেখান থেকে জাহাজটি তিন দিনে গুজরাট উপকূলে পৌঁছতে পারে। পাঁচ দিনের মধ্যে পৌঁছতে পারে ভারতীয় নৌবাহিনীর  ওয়েস্টার্ন ফ্লিটের সদর দফতর মুম্বাইয়ে। ফলে ওই সময়সীমার মধ্যে পিএনএস-সাড যে সব এলাকায় গিয়ে থাকতে পারে সেখানে তল্লাশি শুরু করে ভারতীয় নৌবাহিনী।

নৌবাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, গুজরাট, মহারাষ্ট্রসহ কয়েকটি রাজ্যের উপকূলে নজরদারি চালাতে শুরু করে নজরদারি বিমান পি-৮আই। ভারতীয় ডুবোজাহাজ আইএনএস চক্রও তল্লাশিতে অংশ নেয়। ২১ দিন পরে পাকিস্তানের পশ্চিম দিকে খোঁজ মেলে পিএনএস-সাডের।

নৌবাহিনীর মতে, বালাকোট অভিযানের পরে পরিস্থিতি তেমন কঠিন হয়ে দাঁড়ালে ব্যবহারের জন্য পাক নৌবাহিনী ডুবোজাহাজটিকে ঐ এলাকায় লুকিয়ে রেখেছিল। ভারত কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রথম থেকেই পাকিস্তানের জলসীমার কাছে ভারত এত বেশি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছিল যে পাক নৌবাহিনীর বড় অংশ বালুচিস্তানের কাছে মাকরান উপকূল ছেড়ে নড়তেই পারেনি।

সূত্র: আনন্দবাজার

এমএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি