ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

কাশ্মীর নিয়ে অমিত শাহের হুশিয়ারি

প্রকাশিত : ১৪:৫৪, ২৯ জুন ২০১৯

কাশ্মীরে সন্ত্রাস দমন অভিযান এখনই থামবে না বরং প্রয়োজনে দমননীতি আরও বাড়ানো হবে বলে কড়া হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

কাশ্মীরের আলাদা স্বাধীনতা চাওয়া ও এ নিয়ে আন্দোলন-সহিংসতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভয় হওয়াই চাই। ভয় থাকা দরকার। বিশেষ করে যারা দেশের বিভাজন চায়, তাদের ভয় পাওয়াই উচিত।

শনিবার লোকসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে প্রথমবার ভাষণে জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে এমন হুশিয়ারি দেন অমিত শাহ। সেখানে রাষ্ট্রপতি শাসনের মেয়াদ আরও ছয় মাসের জন্য বাড়ানোর পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীর সংরক্ষণ আইনের সংশোধন নিয়ে বলেন তিনি।

অমিত শাহ বলেন, ‘রোগকে সমূলে শেষ করতে হলে যদি কড়া ওষুধের প্রয়োজন হয়, তা হলে তা দিতে হয়।’

কাশ্মীর সমস্যার জন্য জহওরলাল নেহরুকে দায়ী করে তিনি বলেন, দেশভাগ করেছিল কংগ্রেস। সেই সময়ে অভিযানে নেমে প্রায় গোটা কাশ্মীর যখন ভারতের দখলে চলে এসেছে, তখন হঠাৎ যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে দেন নেহরু। যে কারণে আজও কাশ্মীরের বড় অংশ ভারতের হাতে নেই। বল্লভভাইয়ের হাতে দায়িত্ব থাকলে আজ ছবিটি অন্য রকম হত।

কাশ্মীরের জন্য বিশেষ মর্যাদা সংক্রান্ত সংবিধানের ধারা ৩৭০ বিলোপ করার দাবি তোলে শিবসেনা। এ সময় ওই ধারা বিলোপ হলে কাশ্মীরের মানুষ নয়াদিল্লির উপর আস্থা হারাবে বলে সরব হন কাশ্মীরের অনন্তনাগের এন সি-এর সাংসদ হাসান মাসুদি।

জবাবে অমিত বলেন, ‘ভুলে যাবেন না, ৩৭০ সংবিধানের একটি অস্থায়ী ধারা। কিন্তু অধিকাংশ দলই রাজনৈতিক স্বার্থে অস্থায়ী শব্দটি ভুলে যান।’ শাহ এ নিয়ে অতিরিক্ত বাক্যব্যয় না করলেও বিজেপি সূত্র বলছে রাজ্যসভায় দল সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেই এ নিয়ে এগানোর বিষয়ে ভাবনা রয়েছে দলের মধ্যে।

তিনি বলেন, ‘পাক-প্রেরিত সন্ত্রাসবাদ এখনও সমস্যা ওই রাজ্যে। যা রুখতে সরকার বদ্ধপরিকর। তাই এখন সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘরে হামলা করা হচ্ছে। যারা দেশকে ভাঙতে চায়, তাদের মনে ভয়ের সৃষ্টি হওয়া প্রয়োজন। কারণ আমরা টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং-এর সদস্য নই। যারা বিভাজন চায়, তাদের ভয় পাওয়াই উচিত। ওই ভয় আরও বাড়বে!’


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি