পাক-ভারত সেনাদের এক করে দিল শিশু আবিদ
প্রকাশিত : ১২:০৩, ১৩ জুলাই ২০১৯ | আপডেট: ১২:১২, ১৩ জুলাই ২০১৯
পাকিস্তান-ভারত মানেই উত্তেজনা। হোক তা খেলা, সীমান্তে কিংবা যে কোনো ইস্যুতে। কিন্তু এক শিশু যে সীমান্তের দুই সেনাদের এভাবে এক করে দেবে সেটা মনে হয় কেউ কখনো ভাবেননি।
পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট-বাল্টিস্তানের অন্তর্গত একটি গ্রামের ৭ বছরের শিশু আবিদ শেখ। গত সোমবার থেকে সে নিখোঁজ ছিল। স্কুলে যাওয়ার পথে বুরজিল নালায় পড়ে যায় সে। এরপর তার পরিবার নিখোঁজের বিষয়টি ফেসবুকে আপলোড করেন। ছেলেকে ফিরে পাওয়ার আকুতি জানান আবিদের পরিবার।
এর একদিন পর মঙ্গলবার কিষণগঙ্গা নদীতে তার দেহটি ভাসতে দেখেন নিয়ন্ত্রণ রেখার অদূরে আচুরার বাসিন্দারা। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ফেসবুক থেকে তাঁরা জানতে পারেন পাকিস্তানে ‘নিখোঁজ শিশু’ আবিদের কথা। এরপর থেকেই শুরু আবিদের লাশ তার পরিবারকে ফিরিয়ে দেয়ার চেষ্টা শুরু হয়।
এ বিষয়ে ভারতের বান্দিপোরার ডেপুটি কমিশনার শাহবাজ মিরজা জানান, আমরা বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে সেনাকে জানাই। শিশুটির লাশ ফেরানোর জন্য পাক সেনাদের সঙ্গে যোগাযোগের কথা বলি।
এরপর উপর মহল বিষয়টি জানার পর সীমান্তের ওপারে পাক সেনাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে লাশটি ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।
আবিদের লাশটি বরফ দিয়ে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়, যাতে তাতে পচন না ধরে।
এরপর বৃহস্পতিবার সকালে অবশ্য গুরেজের মাইন পাতা সীমান্ত পেরিয়ে দেহ পাকিস্তানি সেনার হাতে তুলে দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন এক সেনা। দুপুর ১২টা ৩৯ মিনিটে পাকিস্তানি সেনা দেহ শনাক্ত করার পর সেটি গ্রহণ করে।
শ্রীনগরের ১৫ কর্পসের এক কর্তা জানান, এক্ষেত্রে প্রোটোকল মানা হয়নি। মানবিকতার খাতিরে এই পদক্ষেপ।
সীমান্তের পারে বসবাসকারী গ্রামবাসিরা বলছে, এমনটা তারা আগে কখনও দেখেনি। সীমান্ত দুটো গ্রামকে আলাদা করে দিয়েছে। কিন্তু এই ঘটনা কোথাও গিয়ে তাদের আবার এক করে দিল।
ভারত পাকিস্তানের মধ্যে এমন ঘটনা বিরল। অনেকেই এমন ঘটনাকে আগামী দিনে দুই দেশের বৈরিতা কমাবে বলে মনে করছেন।
আরও পড়ুন