যুক্তরাষ্ট্র `আগুন নিয়ে খেলছে’: ইরান
প্রকাশিত : ১৯:৫১, ১৬ জুলাই ২০১৯ | আপডেট: ২০:০৯, ১৬ জুলাই ২০১৯
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ ট্রাম্পকে হুশিয়ারি দিয়ে বলেছেন ওয়াশিংটন আগুন নিয়ে খেলছে। যার পরিণতি ভাল হবেনা। এর আগে তেহরানে উদ্দেশ্যে একই মন্তব্য করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ইরানের পরমাণু কর্মসূচির লাগাম টেনে ধরার পাশাপাশি তেহরানকে একঘরে করে রাখতে ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে করা চুক্তি থেকে গত বছরের মে মাসে সরে আসেন ট্রাম্প।
ওই বছরের নভেম্বরে পুনরায় ইরানের প্রতি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ওয়াশিংটন। এরপর থেকে পেন্টাগনের সঙ্গে সবধরনের আলোচনা নাকচ করে দেন রুহানি প্রশাসন।
চলতি বছরে ওয়াশিংটন উপসাগরীয় অঞ্চলে তেলের ট্যাংকারে হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করে ট্রাম্প। যদিও সে অভিযোগ অস্বীকার করেছিল ইরান।
এ হামলার পাল্টা জবাব হিসেবে গতমাসে ইরানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে মার্কিন ড্রোন ঢুকে পড়লে দেশটির সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বাহিনী সেটি ভূপাতিত করে। এতে যুদ্ধের ঘোষণা দেন ট্রাম্প।
ফলে নতুন করে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। যদিও পরে তেহরানে হামলার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আলোচনার প্রস্তাব দিলে প্রত্যাখান করে তেহরান। ফলে সংকট আরও ঘনিভূত হতে থাকে।
জাভেদ জারিফ বলেন, গত ৭ জুলাই ২০১৫ সালে করা চুক্তির সময়সীমা শেষ হয়েছে। ফলে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে ইরান এখন নিজ গতিতে এগিয়ে যাবে বলে জানান তিনি। বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন করে ৫ শতাংশ ইউরেনিয়ান সমৃদ্ধ করবে তেহরান।
তিনি বলেন, আমরা এটা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য করিনি। আমাদের ইচ্ছা থাকলে, অনেক আগেই তা করতে পারতাম। জাতিংসঘ সফরকালে কোন কারণ ছাড়াই তার চলাফেরার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে তিনি এমন্তব্য করেন।
তবে এমন সসয় ট্রাম্প তার উপর এ নিষেধাজ্ঞা দিলেন, যখন বুধবার ইউএন ইকোনমিক কাউন্সিলে তার বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে। টেকসই উন্নয়নে এ বৈঠক অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলে জানা গেছে।
এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান চলমান সংকট সমাধানে এবার আলোচনায় বসার কথা জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়ের ম্যাক্রঁ।
এ লক্ষ্যে চলতি সপ্তাহেই তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্প, রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে আলোচনায় বসবেন বলে জানিয়েছেন।
গতকাল সোমবার সার্বিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ম্যাক্র এ কথা জানান। তার এ আলোচনার উদ্যোগ মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা প্রশমনে কাজে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ।
তবে এমন সময় তিনি এ আলোচনার কথা জানালেন, যখন বেলগ্রেড সফরের আগে ফরাসী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দিয়েছিলেন, তেহরানের বিষয়ে তিনি ওয়াশিংটনকেই সমর্থন দিবেন। ফলে তার এ আলোচনার উদ্যোগ কতটুকু ফলপ্রসু হবে তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।
আই/এসি
আরও পড়ুন