ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হলেন বরিস জনসন
প্রকাশিত : ১৮:১১, ২৩ জুলাই ২০১৯ | আপডেট: ১৯:১৮, ২৩ জুলাই ২০১৯
সকল জল্পনা- কল্পনার অবসান ঘটিয়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ও কনজার্ভেটিভ পার্টির প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন প্রাক্তন মেয়র ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। চারদফা ভোটগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।
এর আগে সোমবার সোমবার কনজার্ভেটিভ পার্টির ১ লাখ ৬০ হাজার সদস্য দলীয় ও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে ভোট দেন। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে ওয়েস্টমিনস্টারের কিউই-২ নির্বাচনে ফলাফর ঘোষণা করা হয়।
আগামীকাল বুধবার শপথগ্রহণের মধ্যদিয়ে তিনি থেরেসা মে’র স্থলাভিষিক্ত হবেন। খবর বিবিসির।
ব্রেক্সিট ইস্যুতে সমঝোতায় পৌঁছতে ব্যর্থ হওয়ায় চলতি বছরের ৭ জুন প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান থেরেসা মে। তবে নতুন নেতা নির্বাচিত হওয়ার আগ পর্যন্ত দলের দায়িত্ব পালন করে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি।
সে অনুযায়ী মঙ্গলবারই শেষ হচ্ছে থেরেমা মে’র সময়। আগামীকাল বাকিংহামে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র জমা দিবেন থেরেসা। পাশপাশি রানির কাছে নতুন প্রধানমন্ত্রীর শপথ নিবেন বরিসন। নির্বাচিত হয়েই বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ও তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বি বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্টের প্রতি সম্মান জানান বরিসন।
এসময় তিনি বলেন, জেরেমি অসাধারণ কিছু পরিকল্পনা করেছে। যেগুলো দেশের জন্য অনেক কল্যাণকর। সেগুলো নিয়ে নিজেও কাজ করতে চান বলে জানান তিনি। এছাড়া বিদায়ী প্রধানমন্ত্রীকেও তাদের প্রতি দেশের অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানান নতুন প্রধানমন্ত্রী।
ফলাফল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে নতুন প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান থেরেসা মে। এক টুইটবার্তায় তিনি বলেন, কনজার্ভেটিভদের নেতা নির্বাচিত হওয়ায় বরিসনকে অনেক অভিনন্দন। এখন আমাদের সবাইকে মিলে ব্রেক্সিট ইস্যুতে এমনভাবে কাজ করতে হবে যেন তা সর্বোচ্চ ফলপ্রসূ হয়। আর জেরেমিকে এসব প্রক্রিয়ার বাইরে রাখতে হবে বলে মত দেন থেরেসা।
পাশপাশি নতুন সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন আছে বলে জানান তিনি।
থেরেসা মে’র সরে যাওয়ার ঘোষণা পর থেকেই যুক্তরাজ্যের শাসন ক্ষমতায় দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন সাবেক এ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এমনকি নির্বাচনের আগে প্রকাশিত এক জরিপেও ৭৩ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌঁড়ে এগিয়ে ছিলেন তিনি।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় আগামী ৩১ অক্টবরের মধ্যে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের দায়িত্ব তার উপর বর্তাবে। যেকোন মূল্যে তিনি সেটি বাস্তবায়ন করবেন। নির্বাচনের আগে এটাই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সাবেক মন্ত্রী।
আই/এসি
আরও পড়ুন