সৌদি নারীরা অনুমতি ছাড়াই বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন
প্রকাশিত : ০৯:১২, ২ আগস্ট ২০১৯
এখন থেকে পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়াই দেশের বাইরে ভ্রমণ করতে পারবেন সৌদি আরবের নারীরা। এক রাজকীয় ফরমানে এ কথা বলা হয়েছে।
শুক্রবার ঘোষণা করা নতুন আইনে বলা হয়, ২১ বছরের বেশি বয়সী যে কোনও নারী এখন থেকে কোনও পুরুষ অভিভাবকের অনুমোদন ছাড়াই পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবে।
প্রাপ্তবয়স্ক সব ব্যক্তিই এখন থেকে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে এবং ভ্রমণ করতে পারবে। এর ফলে এই ক্ষেত্রে নারীদের অনেকটা পুরুষের সমকক্ষ হিসেবেই বিবেচনা করা হবে।
রাজকীয় ফরমানে নারীদের শিশুর জন্মের নিবন্ধন এবং বিয়ে করা বা বিয়ে বিচ্ছেদের অনুমোদনও দেয়। এছাড়া নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগও বাড়ানো হয়েছে ওই ফরমানে।
এই আইন মতে সব নাগরিকেরই কর্মসংস্থানের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে এবং লিঙ্গ, বয়স বা শারীরিক অক্ষমতার ভিত্তিতে সে ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে কোনও ধরণের বৈষম্য তৈরি করার সুযোগ নেই বলা হয়েছে।
এই আইন কার্যকর হওয়ার আগ পর্যন্ত, পাসপোর্ট বানানো বা দেশের বাইরে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সৌদি নারীদের জন্য স্বামী, পিতা বা যে কোনও পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক ছিল।
সৌদি আরবের শাসক যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান কিছুদিন আগে নারীদের গাড়ি চালানোর বিষয়ে বাধ্যবাধকতা শিথিল করেন।
২০১৬ সালে তিনি একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করেন, যেখানে ২০৩০ সালের মধ্যে সৌদি আরবের অর্থনীতি পরিবর্তনের প্রত্যাশা তুলে ধরা হয়।
এ সময়ের মধ্যে সৌদি আরবের শ্রমবাজারে নারীদের অংশগ্রহণের হার ২২ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশ এ উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।
তবে কানাডাসহ বিভিন্ন উন্নত দেশে সৌদি আরবের অনেক প্রভাবশালী বা বিত্তশালী নারীদের আশ্রয় চাওয়ার অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে এর মধ্যেও।
তারা লিঙ্গবৈষম্যের কারণে অত্যাচারের শিকার হয়ে দেশত্যাগ করতে চেয়েছেন বলে দাব করেছেন।
গত জানুয়ারিতে ১৮ বছর বয়সী রাহাফমোহাম্মদ আল-কুনুন’কে আশ্রয় প্রদান করে কানাডা। তিনি সৌদি আরব থেকে পালিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করেন।
তবে ঘটনাচক্রে থাইল্যান্ডের ব্যাংককের বিমানবন্দরের একটি হোটেল রুমে আটকা পড়ে যান তিনি এবং সেখান থেকেই আন্তর্জাতিক সাহায্যের আবেদন করেন।
সৌদি আরবে নারীদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে বিবেচনা করা হয় বলে অনেক সময় দাবি করে এসেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো।
সূত্র: বিবিসি
আরও পড়ুন