পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে বাংলাদেশের মশা : মমতা
প্রকাশিত : ১৪:৫৮, ২ আগস্ট ২০১৯
বাংলাদেশের ন্যায় ডেঙ্গু পশ্চিমবঙ্গে মহামারি আকার ধারণ না করলেও ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি রাজ্যে এ রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত রাজ্যে ৭০০ জনের অধিক মানুষ ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন।
এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গেছে উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্তবর্তী এলাকা হাবরায়। জেলার সরকারি হিসেব মতে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে ওই এলাকায়। জেলার ব্যারাকপুরে ৫৬, কল্যাণগড়ে ৫৬, ভাটপাড়ায় ৩৮ ও বিধাননগরে ৩০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া টিটাগড়ে ৫৩, পানিহাটিতে ৪০ ও খড়দায় ৩৬ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। সময়ের সাথে সাথে বেড়ে চলেছে আক্রান্তে সংখ্যা।
ফলে, ডেঙ্গুর উপদ্রপ দ্রুত মহামারি আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এর পেছনে বাংলাদেশে চলমান এ রোগের প্রকোপকে দায়ী করছেন তিনি।
মমতা বলেন, পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার পেছনে বাংলাদেশের এডিশ মশার ভূমিকা থাকতে পারে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে খুব ডেঙ্গু হচ্ছে। আমাদের সাবধান হতে হবে। সীমান্ত এলাকায় মশা ওপার থেকে এপারে আসে, এপার থেকে ওপারে যায়। দু’পারেই অনেক লোকও যাতায়াত করেন। তাই ডেঙ্গু সংক্রমণের প্রবণতা বাড়তে পারে বলে সতর্ক করে দেন তিনি।
এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) ‘সবজু বাঁচাও’ অভিযানের ডাক দিয়ে বিড়লা তারামণ্ডল থেকে নজরুল মঞ্চ পর্যন্ত পদযাত্রা করেন মমতা। সমাজের সব স্তরের মানুষের অংশ নেন এই বর্ণাঢ্য মিছিলে। মিছিল শেষে বক্তৃতায় ডেঙ্গু প্রসঙ্গে মুখ খোলেন মমতা। সেখানেই বাংলাদেশের এডিস মশা নিয়ে উদ্বেগ জানান তিনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত ১৭ হাজার ১৮৩ জন ডেঙ্গুরোগে আক্রান্ত। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ১ হাজার ৪৭৭, মারা গেছে ১৪ জন। কলকাতা পুরসভার কাছে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ডেঙ্গু মোকাবিলা পদ্ধতি সম্পর্কে বুঝতে বাংলাদেশ প্রস্তাবও পাঠিয়েছে। বিষয়টি বিবেচনা করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
এ প্রসঙ্গে মমতা বলেন, সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় প্রভাবটা একটু বেশি পড়ে। তাই সীমান্ত এলাকাগুলোতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়াও সাধারণভাবে ডেঙ্গু মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় সতর্কতা নিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান রাজ্যের এ মূখ্যমন্ত্রী।
আই/
আরও পড়ুন