ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

গোটা বিশ্ব থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন কাশ্মীর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৩৫, ৬ আগস্ট ২০১৯

৫ আগস্ট ভারতের সাংবিধান থেকে জম্মু-কাশ্মীর সংক্রান্ত ৩৭০ ধারা বিলুপ্ত করার পর এখন পর্যন্ত বিশ্বের অন্যান্য স্থানের সঙ্গে অঞ্চলটির যোগাযোগ একেবারেই বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। সোমবারের ওই বিলে অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরকে ভেঙে দুটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলেও পরিণত করা হয়।

সেদিন রাজ্যটির বিশেষ মর্যাদা বাতিলের বিল উত্থাপনের আগে থেকেই কাশ্মীরকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে মোদি সরকার। রোববার সন্ধ্যা থেকেই ইন্টারনেট ও টেলিফোন নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেয়া হয়। যা এখন পর্যন্ত চালু করা হয়নি।

ফলে সংবিধানের ওই বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর কাশ্মীরের জনগণ কী রকম প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে তার কোনও খবরই বাইরের দুনিয়ার কাছে আসছে না।

এদিকে এখন পর্যন্ত কাশ্মীর উপত্যকার বিভিন্ন সড়কে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাজার হাজার সদস্য টহল দিচ্ছে বলে জানা গেছে। এতে স্থানীয় জনগণ আতঙ্কের মধ্য দিয়ে দিন পার করছে। উপরন্তু স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের প্রায় সবাইকে এখনও গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে।

বিবিসির কাশ্মীর প্রতিনিধি আমির পীরজাদা শ্রীনগর থেকে জানিয়েছে, ওখানে কাউকেই অন্য কারও সঙ্গে কথা পর্যন্ত বলতে দেয়া হচ্ছে না। রাজ্যের কোথায় কী হচ্ছে কেউ জানে না। মানুষজন উদ্বিগ্ন। সবাই কী ঘটছে, কী ঘটতে যাচ্ছে- এসব জানতে চায়।

এদিকে দেশের অন্য অঞ্চলে থাকা কাশ্মীরিরা তাদের পরিবার নিয়ে উদ্বেগ আর আতঙ্কের কথা জানিয়েছেন। দিল্লিতে থাকা কাশ্মিরের এক শিক্ষার্থী জানান, পরিবারের সদস্যদের খোঁজ নিতে স্থানীয় থানায় ফোন দিয়েও কোনও লাভ হয়নি।

উল্লেখ্য, ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা মোতাবেক কাশ্মীরকে যে বিশেষ অধিকার দেওয়া হতো গতকাল সোমবার তা বিলোপ করেছে বিজেপি সরকার। জাতীয় সংসদে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই অধিকার বাতিল সংক্রান্ত বিলটি উত্থাপন করেন।

৩৭০ ধারা বাতিলের ফলে এখন থেকে ভারতের যে কোন নাগরিক কাশ্মীরে জমি কিনতে পারবেন, সেখানে চাকরি করতে পারবেন এবং ব্যবসা পরিচালনাও করতে পারবেন। এ অধিকারগুলো এর আগে শুধুমাত্র কাশ্মীরের স্থায়ী বাসিন্দারাই ভোগ করতে পারতেন।

এদিকে ৩৭০ ধারা বাতিল করার সঙ্গেসঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ নামে যে দুটি অংশে ভাগ করা হয়েছে তা কেন্দ্রীয়ভাবে শাসিত ও পরিচালিত হবে। বিবিসি

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি