ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

কাশ্মীর ইস্যুতে ৩ উপায়ে লড়াই করবে পাকিস্তান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৩৩, ৭ আগস্ট ২০১৯ | আপডেট: ১৫:৪২, ৭ আগস্ট ২০১৯

কাশ্মীর ইস্যুতে উত্তাল পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গন। অঞ্চলটির স্বায়ত্তশাসন প্রত্যাহার করার ভারতীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নানা অঙ্গনে লড়ার অঙ্গীকার করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আইনি, রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে লড়াই করার জন্য ইতোমধ্যে র্শীষস্থানীয় নেতাতের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তিনি বিষয়টি তুলবেন বলেও জানিয়েছেন।

কাশ্মীরে ভারত জাতিগত সহিসংতা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ইমরান খান। পাক প্রধানমন্ত্রী মনে করছেন, কাশ্মীরের ওপর থেকে বিশেষ মর্যাদা তুলে নেয়ার ফলে ভারত মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ ওই এলাকায় জনসংখ্যার কাঠামো পরিবর্তন করতে পারবে।

জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা দিয়ে সেখানে ছিল ৩৭০ ধারা, সোমবার তা প্রত্যাহার করে ভারত। সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করা নিয়ে মোদি সরকারের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে চীন। এমনকি পূণ্যস্থান কৈলাশ মানস সরোবরে যাওয়ার জন্য ভারতীয়দের ভিসা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে চীন কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সব ধরণের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন থাকায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা।

১৯৯৯ সালের ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কারগিল যুদ্ধের সময়ও কাশ্মীর উপত্যকায় যোগাযেগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়নি। সংবিধানের বিশেষ সুবিধা বাতিলের তৃতীয় দিনেও টেলিফোন, ইন্টারনেট সুবিধা বিচ্ছিন্ন রয়েছে কাশ্মীরে। স্কুল-কলেজসহ বন্ধ রয়েছে সব ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। বন্দী রয়েছেন স্থানীয় নেতারা।

প্রসঙ্গত, কাশ্মীরকে ভারত ও পাকিস্তান দুটি দেশই নিজেদের বলে দাবি করে। তবে প্রতিটি দেশ তার একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করে। ভারতের অংশে দীর্ঘদিন ধরে বিচ্ছিন্নতাবাদী সহিংসতা চলছে, যার ফলে গত কয়েক দশকে কয়েক হাজার মানুষ মারা গেছে। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সহায়তা করার জন্য পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করছে ভারত, যা বরাবরই নাকচ করে আসছে পাকিস্তান। তারা বলছে, তার শুধু স্বাধীনতাকামী কাশ্মীরের লোকজনকে নৈতিক আর কূটনৈতিক সমর্থন দিচ্ছে।


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি