ভারতে বন্যায় নিহত শতাধিক
প্রকাশিত : ১৩:৫৪, ১১ আগস্ট ২০১৯
ভারতে বন্যায় এখনও পর্যন্ত ১০০-র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়া লাখ লাখ মানুষ। সব চেয়ে খারাপ অবস্থা মহারাষ্ট্র, কেরালা, কর্নাটক, গুজরাটে। মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুর একাংশও বন্যার কবলে। ডুবেছে আসাম ও বিহারের বিস্তীর্ণ অংশ।
কর্নাটকে অন্তত ৩০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। মহারাষ্ট্রে ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ছ’দিন ধরে উদ্ধারকার্য চালানোর পরেও এখনও বিপুল সংখ্যক মানুষ ঘরছাড়া কোলাপুর জেলায়। রাজ্যের মধ্যে এই জেলাটি অন্যতম বন্যাবিধ্বস্ত জেলা।
শনিবার কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা জানিয়েছেন, রাজ্যের ১৭টি জেলার এক হাজার গ্রাম বন্যাবিধ্বস্ত। উত্তর কর্নাটকের কয়েকটি জেলা মিলিয়ে ৬ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে।
আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্যাবিধ্বস্ত জেলাগুলোর সব সরকারি-বেসরকারি স্কুল বন্ধ থাকবে। প্রবল বৃষ্টিতে ট্রেন চলাচলও ব্যাহত হয়েছে। শনিবার সমস্ত কোঙ্কন রেলওয়ে ট্রেন বাতিল হয়েছে কারওয়ার অঞ্চলে ধস নামার পরে।
কেরালায় গত তিন দিনে ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত বছর এই জেলায় বৃষ্টিতে মৃত্যুর সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছিল।
ওয়ানাদ, কান্নুর ও কাসারগদ এই তিন জেলায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। সেখানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ছ’টি জেলায় জারি হয়েছে অরেঞ্জ অ্যালার্ট।
শনিবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ জানিয়েছেন, ২০০৫ সালের ভয়ঙ্কর বন্যার সময় যা বৃষ্টি হয়েছিল তার দ্বিগুণেরও বেশি বৃষ্টি এবার হয়েছে। রাজ্যের ভয়াবহ বন্যার জন্য তিনি ‘নজিরবিহীন’ বৃষ্টিকেই দায়ী করেন।
এছাড়া, মুম্বাই ও বেঙ্গালুরুর মধ্যবর্তী ৪ নম্বর জাতীয় সড়ক এখনও বন্ধ। কর্নাটকের গাড়িগুলোকে মুম্বাই যেতে বলা হয়েছে সোলাপুর রুট দিয়ে।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি
আরও পড়ুন