ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

চুক্তিহীন ব্রেক্সিট হলে সঙ্কটে পড়বে ব্রিটেন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৩০, ১৯ আগস্ট ২০১৯

ব্রিটেন যদি কোনও চুক্তি ছাড়াই ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়তে চায় তবে জ্বালানি, খাদ্য ও ওষুধের সঙ্কটে পড়বে দেশটি। সরকারি নথির উদ্ধৃতি দিয়ে গতকাল রোববার এই দাবি করেছে ব্রিটেনের একটি সংবাদপত্র।

বরিস জনসন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগ থেকেই বলে আসছেন, যে কোনও মূল্যেই ৩১ অক্টোবর ব্রেক্সিট হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) যদি আলোচনায় বসতে না চায়, তবে চু্ক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিট হবে।

এই বক্তব্যে ব্রিটেনবাসীর অনেকের মনেই সঙ্কটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আর ফাঁস হয়ে যাওয়া সরকারি নথিও বলছে চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের ফলে সঙ্কটে পড়বে দেশের অর্থনীতি। প্রধানমন্ত্রীর দফতর অবশ্য এই ফাঁস হয়ে যাওয়া নথি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।

প্রকাশিত প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়েছে, বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী নিয়ে যেসব লরি ব্রিটেনে ঢোকে, তার ৮৫ শতাংশ আসে ইংলিশ চ্যানেল পেরিয়ে। চুক্তিহীন ব্রেক্সিট হলে ফরাসি সীমান্ত অফিসাররা প্রথমে বুঝে উঠতে পারবেন না যে, সেই সব লরির কাছ থেকে কীভাবে শুল্ক নিয়ে ছাড়পত্র দেওয়া হবে।

সেক্ষেত্রে সীমান্তে জমতে থাকবে লরির বহর। আর এর ফলে বিপুল খাদ্যসঙ্কট দেখা দেবে ব্রিটেনে। সবকিছু স্বাভাবিক হতে তিন থেকে চার মাস সময় লেগে যাবে বলেও দাবি করেছে প্রতিবেদনটি।

গত তিন বছর ধরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সব আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল ব্রেক্সিট। যার কারণে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে যেতেও হয়েছে থেরেসা মে’কে। তার আমলে ব্রেক্সিট নিয়ে বার বার বৈঠকে বসেছিলেন ইইউ নেতারা।

থেরেসার করা একাধিক খসড়া চুক্তিতেও সায় দিয়েছিলেন তারা। কিন্তু ব্রিটিশ পার্লামেন্টে কোনও চুক্তিই পাস করাতে পারেননি থেরেসা। যার ফলে দলের নেতৃত্ব ও প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফাও দিতে হয়েছে তাকে। এবার ইইউ নেতৃত্ব অনঢ়। তারা জানিয়ে দিয়েছে, খসড়া চুক্তিতে আর কোনও পরিবর্তন তারা মেনে নেবেন না।

ব্রেক্সিটপন্থী জনসন প্রথম থেকেই বলে আসছেন, তিন বছর আগে গণভোটে ব্রেক্সিটের পক্ষেই সায় দিয়েছে ব্রিটেনের মানুষ। তাদের সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে ৩১ অক্টোবর ব্রেক্সিট হবেই। ব্রেক্সিট নিয়ে ফের আলোচনা শুরু করতে এই আগস্টে পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশন ডাকার জন্য জনসনকে অনুরোধ করে চিঠি লিখেছেন ব্রিটেন পার্লামেন্টের একশ’রও বেশি সদস্য।

ওই প্রতিবেদন সূত্রে আরও জানা যায়, ব্রেক্সিট নিয়ে এ সপ্তাহেই জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মার্কেল ও ফরাসি প্রধানমন্ত্রী ইমানুয়েল মাকরোর সঙ্গে আলোচনায় বসবেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি