ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১০ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

ওষুধ ও খাবারের চরম সংকটে কাশ্মীরবাসী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৪৬, ২১ আগস্ট ২০১৯ | আপডেট: ১৬:০৩, ২১ আগস্ট ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা কেড়ে নিতে ভারতের সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করা হয়েছে প্রায় ১৫ দিন হলো। কাশ্মীরে বর্তমানে কারফিউ বিদ্যমান রয়েছে। বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা। 

বলা চলে, এক প্রকার খাঁচাবন্দি কাশ্মীরবাসী। বাজারঘাটের সব দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে এই উপত্যকাজুড়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্যান্য জিনিসের পাশাপাশি খাবার ও ওষুধের সংকট চরম আকার ধারণ করেছে।

খাবারের মজুদও শেষ হয়ে গেছে বাসিন্দাদের। ঘরে ঘরে হাহাকার ছড়িয়ে পড়েছে। অসুস্থ হয়ে পড়লেও চিকিৎসার সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। জরুরি রোগীকে হাসপাতালে নিতে অ্যাম্বুলেন্স ডাকার ক্ষমতা নেই। সেনা-পুলিশের পেলেট গান বা ছররা গুলিতে আহত গুরুতর রোগীদেরও হাসপাতালে নিতে দেয়া হচ্ছে না। শুধু রোগীই নয়, হাসাপাতালে যেতে পারছে না চিকিৎসক ও কর্মীরাও।

রোগী ও স্টাফরা যাতে সহজেই হাসপাতালে যেতে পারে সেজন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে সরকারের কাছে চিঠি লিখেছেচিকিৎসকদের ১৮ সদস্যের একটি দল। খবর দ্য হিন্দুর।

চলতি মাসের ৫ আগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করা হয়। কিন্তু এর একদিন আগে থেকেই উপত্যকাজুড়ে কড়া অবরোধ চাপিয়ে দেয়া হয়। মোবাইল-ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া হয়। ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে সচ্ছল পরিবারগুলোর অনেকেই ঘরে খাবার ও ওষুধ মজুদ করেছিলেন। এরই মধ্যে তাদের সেই মজুদও শেষ হয়ে গেছে।

একটানা কারফিউয়ের কারণে দোকানপাট না খোলায় ভয়াবহ সংকটে পড়েছে তারা। আরও বড় বিপদে পড়েছে ‘দিন এনে দিন খাওয়া’ দরিদ্র পরিবারগুল ১৬ দিন ধরে বাইরে বেরুতে পারছে না তারা। কোনো কাজ নেই, খাবার কেনার টাকা নেই। ছেলে-মেয়ে ও পরিবার-পরিজন নিয়ে একরকম না খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে। কারফিউয়ের কারণে ফার্মেসি বন্ধ থাকায় ওষুধ কিনতে পারছে না রোগীরা। ব্যাংক বন্ধ আর এটিএম বুথে টাকা নেই।

শ্রীনগরের তাংমার্জ এলাকার বাসিন্দা মুসতাক আহমেদ। শনিবার হৃদরোগে আক্রান্ত ছোট ভাগিনীর জন্য অতিপ্রয়োজনীয় কিছু ওষুধ কেনার বের হন তিনি। কিন্তু যানবাহন না থাকায় কয়েক ঘণ্টা হেঁটে অবশেষে শহরে পৌঁছান। কিন্তু শহরের সব ওষুধের দোকান খুঁজেও কাক্সিক্ষত ওষুধ পাননি। ৩২ বছর মুখতার আহমেদ শ্রীনগরে একটি ওষুধ দোকানের মালিক। তিনি জানান, ওষুধের সরবরাহ না থাকায় ইনসুলিন, শিশুখাদ্য এবং অতিপ্রয়োজনীয় অন্যান্য ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না।

আরেক ফার্মেসির মালিক রিয়াজ আহমাদ বলেন, ওষুধের জন্য লোক এখানে-ওখানে ছুটে বেড়াচ্ছে। কিন্তু আমরা কোনো ওষুধ দিতে পারছি না।’ কারফিউ ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সরকার বাসিন্দাদের স্বাস্থ্যসেবা ও বেঁচে থাকার অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে বলে অভিযোগ করেছে ১৮ চিকিৎসকের একটি দল। ভারত সরকারের কাছে লেখা এক যৌথ চিঠিতে চিকিৎসকরা বলেছেন, মানুষ তাদের স্বজনদের হাসপাতালে নিতে পারছে না। অ্যাম্বুলেন্স ডাকতে পারছে না।

টিআর/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি