কালো তালিকায় পাকিস্তান
প্রকাশিত : ১৭:০১, ২৩ আগস্ট ২০১৯ | আপডেট: ১৭:৫৫, ২৩ আগস্ট ২০১৯
সন্ত্রাসবাদে মদদের অভিযোগ উঠলো পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। কাশ্মীর নিয়ে যখন টালমাটাল অবস্থা ঠিক তখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আসলো। ফের কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে দেশটিকে। বিশ্বব্যাপী আর্থিক নজরদারির ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ) টেরর ফান্ডিং ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে পাকিস্তানকে কালো তালিকাভূক্ত করেছে।
আজ শুক্রবারই সেই রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গেছে, ৪০টি মাপকাঠির মধ্যে ৩২টিতেই ব্যর্থ হয়েছে পাকিস্তান। তাই তাদের কালো তালিকাতেই রাখা হল। খবর এনডিটিভির
তারা জানায়, আগামী অক্টোবরের মধ্যে জাতিসংঘ দ্বারা ঘোষিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের মাটিতে অভিযান চালানো না হলে, ওই দেশটিকে কালো তালিকাভুক্ত করা হতে পারে, জানিয়েছে ভারতীয় কূটনৈতিক দলের উচ্চপদস্থ একটি সূত্র।
পাকিস্তান-ভিত্তিক জঙ্গি জয়শ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারকে জাতিসংঘ কর্তৃক বিশ্ব সন্ত্রাসবাদী হিসাবে কালো তালিকাভুক্ত করার ব্যাপারে আগেও ভারত এফএটিএফকে পাকিস্তানকে কালো তালিকায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে। ভারতের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে ক্রমাগতই সন্ত্রাসবাদে মদত দিতে সন্ত্রাসী তহবিল গঠনে সাহায্য করছে পাকিস্তান।
২০১৮ সালের জুন থেকে পাকিস্তান "ধূসর তালিকা"ভুক্ত দেশগুলির মধ্যে অন্যতম যাদের দেশীয় আইন আর্থিক তছরুপ এবং সন্ত্রাসবাদের তহবিল গঠন বন্ধ করার মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দুর্বল বলে বিবেচিত হয়।
ভারত ও এফএটিএফ-র অন্যান্য সদস্য দেশগুলো পাকিস্তানকে হাফিজ সঈদ, মাসুদ আজহার এবং জাতিসংঘ দ্বারা ঘোষিত অন্যান্য সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগ তুলেছিল। ওই দেশগুলো একথাও উল্লেখ করেছে যে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী আইন এখনও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
এফএটিএফের একাধিক সদস্য দেশ হাফিজ সঈদ ও আজাহার মাসুদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের মামলা দায়ের না করার বিষয়টিও উত্থাপন করেছে । যদিও পাকিস্তান দাবি করেছে যে লস্কর-ই-তৈয়বা, জামাত-উদ-দাওয়া, ফালাহ-ই-ইনসানিয়াৎ ফাউন্ডেশন এবং জইশ-ই-মহম্মদ সহ ৭০০ টিরও বেশি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর সম্পত্তি দখলের মাধ্যমে তারা যথেষ্ট কাজ করেছে।
তবে পাকিস্তান যদি "ধূসর তালিকায়" থেকে যায়, তবে মুডি, স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুয়ারস এবং ফিচের মতো ক্রেডিট রেটিং এজেন্সিগুলির নেতিবাচক মূল্যায়নের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, বিশ্বব্যাংক এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাঙ্কের কাছেও দেশটির অবস্থান নিম্নমুখী হবে।
আর যদি তা হয় তাহলে পাকিস্তানের আর্থিক বোঝা আরও বাড়বে, যা সে দেশের অর্থনীতিকে আরও মন্দা পরিস্থিতিতে পৌঁছে দেবে, যেখানে আর্থিক দুরবস্থা কাটাতে আন্তর্জাতিক সাহায্যের আশু প্রয়োজন রয়েছে ইমরান খানের দেশের।
এসি
আরও পড়ুন