ব্রিটেনে গণবিক্ষোভের ডাক
প্রকাশিত : ১১:৩২, ৩১ আগস্ট ২০১৯
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের একতরফা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গণ-অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন ব্রিটেনের বিরোধী নেতা লেবার পার্টির প্রধান জেরেমি করবিন। পার্লামেন্ট স্থগিত করে চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিটের দিকে হাঁটছে প্রধানমন্ত্রী, আর এর বিরোধিতার জন্যই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন তিনি।
চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিটের বিরোধীদেরকে নিয়ে একজোট হয়ে আগামিকাল রাস্তায় নামবেনও বলে জানিয়েছেন করবিন। এই গণবিক্ষোভে সব ধরনের রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেওয়া হবে। এরপরে দরকার হলে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রাসাদে গিয়ে প্রতিবাদ জানানো হবে বলেও জানিয়েছেন বিরোধী নেতা জেরেমি করবিন।
করবিন আরও বলেন, এতে হয়তো জনগণের অসুবিধা হবে, তার জন্য দুঃখিত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যেভাবে গণতন্ত্রের বিপক্ষে গিয়ে যে পরিকল্পনা করছেন, তার বিরোধিতায় এই কর্মসূচি নেয়া ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না। যে কোন উপায়ে ব্রেক্সিট করিয়ে বরিস নতুন করে কর-ব্যবস্থা চালু করলে তাতে আরও সমস্যায় পড়বে ব্রিটেনবাসী।
জানা গেছে, শাসক দল কনজারভেটিভ পার্টির অনেক সদস্যও যোগ দিবেন করবিনের ডাকা গণবিক্ষোভে। তাদের দাবি পার্লামেন্টে আলোচনার মাধ্যমে ব্রেক্সিট নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হোক। এর বাইরের কোন পদক্ষেপ তারা মেনে নিবেন না।
লেবার পার্টির সমর্থক এবং ‘ছায়া অ্যাটর্নি জেনারেল’ ব্যারনেস শর্মি চক্রবর্তী বলেছেন, বরিসের বিরোধী এমপিরা চুক্তিহীন ব্রেক্সিট রুখতে আইনে পরিবর্তন আনবেন বলে তিনি বিশ্বাস করেন। আর সরকার যদি অনড় থাকে তাহলে মানুষকে পথে নামতেই হবে।
তিনি আরও বলেন, গত কয়েকদিনে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হওয়ায় বিরোধী কনজারভেটিভ সদস্যরা ঠিক পথে ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছেন। আইনে পরিবর্তন ঘটিয়ে ওই বিল পাস করাতে যাতে বিলম্ব করা যায়, তার জন্য সরকারের সব স্তরে চেষ্টা চালানো হবে।
বেক্সিট বিরোধীরা প্রথমে লন্ডন, গ্লাসগো, লিডস, লিভারপুল, ম্যানচেস্টার, নিউকাস্ল, অক্সফোর্ড, শেফিল্ড এবং ইয়র্কের রাস্তায় নেমে প্রতিবাদের মাধ্যমে সরকারকে অচল করে দেয়ার কর্মসূচি নিয়েছে।
এই বিক্ষোভ কর্মসূচির বিপক্ষে সরকার পক্ষ হুমকি দিয়ে বলেছে, ক্ষমতা থাকলে সরকার অচল করে দেখান। যেভাবেই হোক ব্রেক্সিট হবেই।
এএইচ/
আরও পড়ুন