১৫ লাখ মানুষকে বাংলাদেশে ফেরত নিতে বলবে আসাম!
প্রকাশিত : ১৩:০২, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ১৩:১৩, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯
আসামের এনআরসি তালিকা থেকে বাদ পড়া ১৯ লাখ মানুষের মধ্যে ১৪-১৫ লাখ ‘অবৈধ অভিবাসীকে’ বাংলাদেশে ফেরত নিতে বলবেন বলে জানিয়েছেন আসামের অর্থমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা হেমন্ত বিশ্ব শর্মা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮'কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমন কথা বলেন।
হেমন্ত শর্মা বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে কথা বলে তাদের লোকদের ফিরিয়ে নিতে বলব। কিন্তু যতদিন ফিরিয়ে না নেওয়া হচ্ছে, ততদিন আমরা তাদের ভোটাধিকার দেব না। তবে বিশেষ কিছু সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে।’
বিজেপি এই নেতা বলেন, ১৯৭১ সালের পরে যারা শরণার্থী হিসেবে এসেছে, তারা সমস্যার সম্মুখীন হবেন। আমরা তাদের প্রতি সহমর্মী। কিন্তু তালিকার মধ্যে অনেকে আছেন, যারা নাগরিক নিবন্ধন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করেছেন এবং আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।
আসামের অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, আসামের আদিবাসীরা নিজেদের জায়গা ফিরে পাওয়ার আগ পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলবে। আমরা ১৪-১৫ লাখ বিদেশিকে চিহ্নিত করেছি। এটা প্রমাণিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেছেন তা আমরা আমলে নিচ্ছি না। অবৈধ বিদেশিরা তার ভোটব্যাংক। তাই তিনি তাদের হয়ে কথা বলেছেন।
এর আগে গত শনিবার চূড়ান্ত এনআরসি প্রকাশ করে আসাম সরকার। ওই তালিকায় চূড়ান্তভাবে ঠাঁই হয়েছে ৩ কোটি ১১ লাখ লোকের। আর তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ১৯ লাখ ৬ হাজারের কিছু বেশি মানুষ।
এ বিষয়ে আসাম রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে, এনআরসিতে নাম না ওঠা ব্যক্তিরা এফটিতে আবেদনের জন্য ১২০ দিন সময় পাবেন।
এদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নাম ওঠাতে ব্যর্থ নাগরিকরা প্রথমে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে পারবেন, তারপর সুপ্রিম কোর্টের। আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হলে কাউকেই ডিটেনশন ক্যাম্পে (ডি-ক্যাম্প) পাঠানো হবে না।
তবে, বাদ পড়া এসব নিরীহ মানুষের পক্ষে এসব আইনি প্রক্রিয়ায় যাওয়াটা নিতান্তই দুরূহ ব্যাপার বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র- নিউজ১৮।
এনএস/
আরও পড়ুন