ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

কাশ্মীর ইস্যুতে অ্যাক্টিভিস্ট শেহলার বিরুদ্ধে মামলা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:০৮, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯

কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ‘বিভ্রান্তিকর’ তথ্য ছড়ানো হয়েছে দাবি করে কাশ্মীর অ্যাক্টিভিস্ট ও ভারতের জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়’র (জেএনইউ) সাবেক শিক্ষার্থী শেহলা রশিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শুক্রবার দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলে শেহলার বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। কাশ্মীরের জনসাধরণের উপর নির্যাতন চালাচ্ছে ভারতীয় সেনারা এমন অভিযেগ এনে তিনি ১৮ আগস্ট বেশ কয়েকটি টুইট করেন। খবর ইন্ডিয়া টুডে’র।

জানা যায়, গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের ঘোষণার মধ্য দিয়ে কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন ও বিশেষ অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। জম্মু-কাশ্মিরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করতে পার্লামেন্টে পাস হয় একটি বিলও। এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে কাশ্মিরজুড়ে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুলসংখ্যক অতিরিক্ত সেনা। ইন্টারনেট-মোবাইল পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে সেখানকার বিপুলসংখ্যক স্বাধীনতাপন্থী ও ভারতপন্থী রাজনৈতিক নেতাকে। 

সেনা জওয়ানরা কাশ্মীরে খেয়ালখুশি মতো বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে এবং বাসিন্দাদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে— গত ১৮ আগস্ট এমনই মন্তব্য করেছিলেন শেহলা। কিন্তু সে অভিযোগ অস্বীকার করে সেনাবাহিনী দাবি করেছে, শেহলার অভিযোগ ভিত্তিহীন। এ নিয়ে এক বিবৃতিতে সেনাবাহিনী জানায়, শেহলার তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন। সত্য-মিথ্যা যাচাই না করে এ ধরনের অভিযোগ তোলে শত্রুশক্তি বা সংগঠন।

এ নিয়ে সমাজকর্মী শেহলা বলেন, সেনা কর্তৃপক্ষ তদন্ত শুরু করলেই আমি তাদের হাতে প্রমাণ তুলে দেব। আমি এ কথা বলার পরও সেনা তদন্ত শুরু করেছে? তিনি বলেন, আমি যা বলেছি, পুরোটাই কাশ্মীর থেকে আসা লোকসজনের বিশ্বাসযোগ্য কথোপকথনের ভিত্তিতে। মিথ্যা বলার কোনো প্রশ্নই নেই। আমি একটা নয় অনেকগুলো অভিযোগ তুলেছি। কাশ্মীরের মানুষ গ্যাস পাচ্ছেন না, রান্না করতে পারছেন না।

কাশ্মীরিদের পক্ষে টুইটে বিভিন্ন মন্তব্যের জেরে এবার তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দিল্লি পুলিশ। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আলাখ অলোক শ্রীবাস্তবের অভিযোগের ভিত্তিতেই এই মামলা দায়ের করা হয়।

এমএস/এসি
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি