ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

‘পশ্চিমবঙ্গে কোনও এনআরসি করতে দেব না’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:২২, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ১৭:১২, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে কোনও জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) করতে দেয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। সম্প্রতি বিজেপির নেতারা পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি করা হবে বলে যে মন্তব্য করেছিলেন বৃহস্পতিবার তারই জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এদিন পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় এনআরসি’র বিরুদ্ধে হাজার হাজার মানুষকে নিয়ে পদযাত্রা ও পরে এক সমাবেশে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপি নেতাদের তীব্র সমালোচনা করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।

সমাবেশে মমতা বলেন, আসামে (এনআরসি থেকে) যাদের নাম বাদ গেছে তাদের জন্য একটা জেল তৈরি করেছে। তাদের সব জেলে রেখে দেবে। 

এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে উদ্দেশ্যকে করে বলেন, বাংলায় আমি যতদিন বেঁচে আছি তোমার ক্ষমতা থাকলে এনআরসি করে দেখাও। আমি মরে গেলেও আমাদের দল তা করতে দেবে না। আমাদের ইয়ং জেনারেশন, চারটি জেনারেশন তৈরি করে দিয়েছি, খেলা অত সহজ নয়। সুতরাং পরিষ্কার বলে যাই, এনআরসি নিয়ে বিজেপিকে ধিক্কার!

মমতা এদিন সভা মঞ্চ থেকে ‘এনআরসি মানছি না’ বলে স্লোগান দিলে উপস্থিত জনতা ‘মানছি না, মানছি না’ বলে তাতে গলা মেলান।

এসময় বিজেপি নেতাদের হুঁশিয়ারি দিয়ে তৃণমূল নেত্রী আরও বলেন, আরেকটা বঙ্গভঙ্গ করার চেষ্টা করবেন না। আরেকটা ভারত ভাগ করার চেষ্টা করবেন না। দেশ ভাগ করার চেষ্টা করবেন না। বাংলা ভাষায় কথা বললেই যদি বাংলাদেশি বলে ঘাড়ধাক্কা দেয়া হয়, তাহলে মনে রাখবেন যারা এটা করছেন, আগুন নিয়ে খেলবেন না। আমরা সবাই কিন্তু তৈরি আছি দেশকে রক্ষা করার জন্য।

এর আগে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, আসামের মতো পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি হবে। এতে প্রায় দুই কোটি মানুষ বাদ যাবে। বিদেশি নাগরিকরা এসে রাজ্য ও দেশের সম্পদ নষ্ট করছে। তা বন্ধ করতে এনআরসি প্রয়োজন।

ওই প্রসঙ্গ টেনে সমাবেশে মমতা বলেন, বলছে বাংলায় দুই কোটি মানুষের নাম বাদ যাবে! বাংলার দুই জনের গায়ে হাত দিয়ে দেখুন! 

এসময় ভাষা ও ধর্মের ভিত্তিতে এনআরসি মানবো না বলেও স্পষ্ট হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি