ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

বিক্ষোভে উত্তাল মিশর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:৪৪, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ২২:১৪, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯

মিশরের স্বৈরশাসক জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে গোটা দেশজুড়ে এবং তা ক্রমেই জোরদার হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে শনিবার রাতে দ্বিতীয় দিনের মতো সংঘর্ষ হয়েছে দেশটির বন্দরনগরী সুয়েজে। সেখানে ব্যাপক ধরপাকড়ের ঘটনাও ঘটেছে। কমপক্ষে ৭৪ জনকে আটক করা হয়েছে। 

নিরাপত্তা বাহিনীর প্রচণ্ড বাধা উপেক্ষা করে দ্বিতীয় দিনের মতো ওই রাতে সুয়েজ শহরে শত শত বিক্ষোভকারী জেনারেল সিসির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেন। সেখানে নিরাপত্তা বাহিনী এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় নিরাপত্তা বাহিনী টিয়ার গ্যাস এবং তাজা গুলি ব্যবহার করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের উপর হামলা চালালে বেশ কয়েকজন আহত হন। এছাড়া কমপক্ষে ৭৪ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করতে এবং তাহরির স্কয়ারে তাদেরকে লক্ষ্য করে টিয়্যার গ্যাস ছুঁড়তে দেখেছেন। এ সময় বিক্ষোভকারীদের ‘সিসি ক্ষমতা ছেড়ে চলে যাক’ এমন শ্লোগান দিতে দেখা যায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সুয়েজ শহরের একজন অধিবাসী জানান, নিরাপত্তা বাহিনী এত বেশি মাত্রায় টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করেছে যে, তাতে কয়েক কিলোমিটার রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। তিনি জানান, টিয়ার গ্যাসের ঝাঁঝালো গন্ধে রাতের বেলায় ঘরের ভেতরে থাকাও কষ্টকর হয়ে পড়েছিল।

বন্দরনগরী সুয়েজ ছাড়াও রাজধানী কায়রো, গিজা এবং উত্তরাঞ্চলীয় মাহাল্লা শহরে রাতের বেলায় বিক্ষোভ হয়েছে। এসময় যুক্তরাষ্ট্র সফররত জেনারেল সিসির প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অনুরোধ করেন বিক্ষোভকারীরা।

এরই প্রেক্ষিতে নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছে রাজধানী কায়রোর তাহরির চত্বরে। এই তাহরির চত্বরে থেকেই ২০১১ সালে মিশরের সাবেক স্বৈরশাসক হোসনি মোবারকের বিরুদ্ধে প্রবল গণআন্দোলন গড়ে তোলা হয়। যার ফলাফল হিসেবে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে বাধ্য হন হোসনি মোবারক।

এদিকে, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেয়ার জন্য মিশরের প্রেসিডেন্ট জেনারেল সিসি নিউইয়র্কের যে ভবনে অবস্থান করছেন, সেখানেও বিক্ষোভ করছেন বহু মিশরিয় নাগরিক। বিক্ষোভকারীরা জেনারেল সিসির প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানান। 

অন্যদিকে, মিশরের চলমান বিক্ষোভে অংশ নিতে গিয়ে এরইমধ্যে আটক করা হয়েছে শতাধিক মানুষকে। সিসি সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ এনে জনগণ এই বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন। ২০১৩ সালে মিশরের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করেন জেনারেল সিসি। সূত্র- আল-জাজিরা।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি