‘আবরার হত্যার আন্দোলনে শিবির-ছাত্রদল সক্রিয়’
প্রকাশিত : ১৬:০৬, ১৩ অক্টোবর ২০১৯
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার পর বিভিন্ন দাবিতে বুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ইসলামী ছাত্রশিবির ও ছাত্রদল সক্রিয় রয়েছে।
আজ রোববার সচিবালয়ে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন অভিযোগ করেন।
বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধে মৌলবাদী গোষ্ঠির তৎপরতা বাড়বে বলে মনে করেন কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাময়িকভাবে যেটি বন্ধ করেছে, সেটি পরিস্থিতি উত্তরণে সহায়ক হবে বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি। তবে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকলে সেটির নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। এটি একান্তই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ব্যাপার।
হাছান মাহমুদ বলেন, বুয়েটে যে ঘটনাটি ঘটেছে, এটি অত্যন্ত নিন্দনীয়, ন্যক্কারজনক ও নৃশংস। আমরা প্রথম থেকেই এ ঘটনার প্রতিবাদ করেছি। কেউ দাবি তোলার আগেই সরকার এ ব্যাপারে তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এখন পর্যন্ত ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেখানে ছাত্রদের যে আবেগ, সেটার সঙ্গে আমি সম্পূর্ণ একমত পোষণ করি। তাদের আবেগের সঙ্গে আমারও আবেগ জড়িত।
তিনি বলেন, আজকে আমরা লক্ষ্য করছি, ছাত্রদের আবেগ-অনুভূতিকে পুঁজি করে একটি মহল বিশেষত, বিএনপি ও তাদের মিত্ররা বাংলাদেশে একটি মহল আছে, যারা দেশ অস্থিতিশীল হলে ফায়দা লুটতে পারে, তারা সবাই মিলে এই ঘটনাকে পুঁজি করে ছাত্রাঙ্গনকে অশান্ত রেখে, দেশকে অশান্ত করার দূরাভিসন্ধি থেকে ছাত্রদের মধ্যে তাদের এজেন্ট ঢুকিয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়ার পর কেন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা? সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রদের সব দাবি মেনে নিয়েছে। অতীতে বাংলাদেশের ইতিহাসে এত তড়িৎগতিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। হাছান মাহমুদ বলেন, আমি ছাত্রদের অনুরোধ জানাব, কেউ যাতে এটিকে পুঁজি করে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
হাছান মাহমুদ বলেন,যারা বিরাজনীতিকরণের প্রক্রিয়ার সঙ্গে অতীতে যুক্ত ছিলেন, বিরাজনীতিকরণের জন্য যারা সচেষ্ট থাকেন, তাদের কারও কারও মুখ থেকে এ কথাগুলো আসছে বলে আমরা লক্ষ্য করছি। তবে দেশে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার দাবিকে অমূলক বলে মনে করেন তিনি।
টিআর/
আরও পড়ুন