ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

কাশ্মীর সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের গোলাগুলিতে নিহত ৯

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৪১, ২০ অক্টোবর ২০১৯

পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত জন্মু কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলায় পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে দুই ভারতীয় সেনাসহ তিনজন হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে একজন বেসামরিক লোক রয়েছেন বলে জানা গেছে।

অপরদিকে, ভারতীয় বাহিনীর গুলিতে ৬ পাকিস্তানি নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইসলামাবাদ। বার্তা সংস্থা রয়েটার্স ও দ্য ডন এ খবর জানিয়েছে।

আজ (রোববার) কুপওয়াড়া জেলার তঙ্গধার সেক্টরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পোস্ট লক্ষ্য করে প্রথমে পাকিস্তানি বাহিনী গুলিবর্ষণ করে। এতে ওই হতাহতের ঘটনা ঘটে। পাল্টা জবাবে ভারতীয় বাহিনীও হামলা চালায়।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে উভয় দেশের ৯ জন নিহত হয়েছে। পাশাপাশি কয়েকটি ভবন ও গাড়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ইসলামাবাদ বলছে, ভারতীয় বাহিনীর গুলিতে ছয় বেসামরিক নিহতের পাশাপাশি আরো ৮ জন আহত হয়েছে।

ভারতের বাহিনীর মুখপাত্র রাজেশ কালিয়ার বলেন, অস্ত্র বিরতি উপেক্ষা করে পাকিস্তানি সেনারা বিনা উস্কানিতে এ হামলায় চালিয়েছে। তবে, তাদের হামলার জবাব দিয়েছে আমাদের সেনারাও।

এদিকে, পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী রাজা ফারুক হায়দার এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থানরত ভারতীয় বাহিনী পাগল হয়ে গেছে। সেখানকার মুজাফপরবাদ ও নীলম জেলায় বেসামরিক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে জানান তিনি।'

প্রসঙ্গত, চলতি বছর  ভারতীয় সংবিধানে দেয়া কাশ্মীরিদের বিশেষ মর্যাদা উঠিয়ে দেয়ার পর থেকেই চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে দুই পরাশক্তির মধ্যে। এ ইস্যুকে কেন্দ্র করে এটাই সবচেয়ে বড় হতাহতের ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।

এর আগে গত সপ্তাহে জম্মু-কাশ্মীরের বারামুল্লায় নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গুলিবর্ষণে সন্তোষ গোপ (২৭) নামে এক ভারতীয় সেনা নিহত হয়েছিলেন। তিনি ঝাড়খন্ডের গুমলা জেলার বাসিন্দা ছিলেন।

অন্যদিকে, ১১ অক্টোবর জম্মু-কাশ্মীরের নৌশেরা সেক্টরে পাকিস্তানি বাহিনী যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে গুলিবর্ষণ করলে পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ির বাগডোগরার বাসিন্দা নায়েক সুভাষ থাপা নিহত হন।

আই/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি