কানাডায় সাধারণ নির্বাচন আজ
প্রকাশিত : ১২:১০, ২১ অক্টোবর ২০১৯
উত্তর আমেরিকার দেশ কানাডায় আজ সোমবার শুরু হচ্ছে ৪৩তম সাধারণ নির্বাচন। এর মধ্যদিয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ও তার দল লিবারেল দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় থাকতে পারবেন কি-না তা নির্ধারণ হবে।
এবারে দেশটির হাউজ অব কমন্সের ৩৩৮ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ৬টি দল। নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোকে শক্ত চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন কনজারভেটিভ নেতা স্টেফেন হারপার।
বিশ্লেষকরা বলছেন, অভিবাসন নীতিতে উদার ট্রুডোর জনপ্রিয়তা অনেকটাই কমেছে জলবায়ু ও মাদকসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বিতর্কিত পদক্ষেপের কারণে।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত পাঁচ সপ্তাহ ধরে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছে অংশগ্রহণকারী দলগুলো। এতে প্রতিপক্ষকে প্রশ্নবানে জর্জরিত করেন অপর প্রতিপক্ষ।
প্রায় চার কোটি জনসংখ্যার দেশ কানাডা। ১০টি প্রদেশ নিয়ে আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ। বহু সংস্কৃতির কানাডার হাউজ অব কমন্সে আসন ৩৩৮টি। আর সরকার গঠনে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতায় প্রয়োজন ১৭২ আসন।
এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে লিবারেল, কনজারভেটিভ, নিউ ডেমোক্রেটিক, ব্লক কুবেকুয়া, গ্রিন ও পিপলস পার্টি অফ কানাডা। প্রাক জরিপ বলছে, ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টিকে শক্ত চ্যালেঞ্জ দিচ্ছে কনজারভেটিভ পার্টি।
উদার অভিবাসননীতি, বিভিন্ন রাজ্যে গাঁজার বৈধতা ও জলবায়ু প্রশ্নে কার্যকর কিছু করতে না পারায় কমছে জাস্টিন ট্রুডোর জনপ্রিয়তা। নির্বাচনের কয়েক মাস আগে, ট্রুডোর এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় কোণঠাসা ট্রুডো সরকার।
এই সুযোগকেই দারুণ কাজে লাগিয়েছে কনজারভেটিভ পার্টি। নির্বাচনী প্রচারে ক্ষমতাসীনদের ব্যর্থতাকে তুলে ধরেন দলটির নেতা স্টেফেন হারপার। ভোটের আগে রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ে আয়োজিত টিভি বিতর্কগুলোতে চোখ ছিল ভোটারদের। এসব বিতর্কে যোগ দেন প্রবাসী বাঙালিরাও।
বিশ্লেষকরা বলছেন- অর্থনীতি, বাণিজ্য, অভিবাসন, জলবায়ু ইস্যু, গ্যাস পাইপলাইন সচল ও আদিবাসি ইস্যুতে যারাই বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে আগামী পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতায় আসছেন তারাই।
আরকে//
আরও পড়ুন