ইরাকে নিরাপত্তা বাহিনীরে গুলিতে নিহত ৪০
প্রকাশিত : ১২:১১, ২৬ অক্টোবর ২০১৯
দুর্নীতি, বেকারত্ব, সরকারি চাকরি ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে যুদ্ধবিধস্ত দেশ ইরাকে নতুন করে আন্দোলন শুরু হয়েছে। রাজধানী বাগদাদে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) এ নিয়ে বিক্ষোভ করলে তাদের ওপর টিয়ারসেল ও গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। যাতে অন্তত ৪০ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গত একমাসের বিক্ষোভে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৭৯ তে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে।
গত ১ অক্টোবর থেকে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে এ আন্দোলন শুরু হয়। বিক্ষোভে প্রথম সপ্তাহে শতকের বেশি মানুষ প্রাণ হারায় আন্দোলন কয়েক দিনের জন্য স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এতে সরকার নতুন করে নিজেকে গুছিয়ে নেয়। তবে আন্দোলন পুনরায় শুরু করার ইঙ্গিত সেসময় দিয়েছিল বিক্ষোভকারীরা।
সে অনুযায়ী শুক্রবার বিক্ষোভে নামার সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনী এলোপাতাড়ি গুলি চালায়। এতে ৪০ জন নিহত ও ২ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়। তবে সরকারের পক্ষ থেকে ৩০ জন নিহত ও ৬৮ জন আহতের দাবি করা হয়েছে।
দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর আমারাতে সংঘর্ষে পুলিশের একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা এবং মিলিশিয়াদের এক গুরুত্বপূর্ণ নেতা নেতা হয়েছে।
ইরাকি মানবাধিকার সংস্থা (আইএইচসিএইচআর) জানিয়েছে, আন্দোলনকরীদের ওপর পুলিশের গুলিতে দুই হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছে। যাদের অধিকাংশ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সংস্থাটি বলছে, সরকারি চাকরি, দুর্নীতি ঠেকাতে দেশটির রাজনীতিবিদরা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। কয়েক বছর ধরে চেষ্টা চালিয়েও সাধারণ মানুষের জীবনমানের উন্নতি করতে পারেননি দেশটির সরকার।
আন্দোলনরত ১৬ বছর বয়সী আলী মোহাম্মদ জানান, আমরা চারটি জিনিসি চাই সরকারের কাছে। চাকরি, পানি, বিদ্যুৎ ও নিরাপত্তা। এসব আমাদের মৌলিক অধিকার। এগুলোর দাবিতেই আমি আন্দোলনের নেমেছি।
চলমান এ আন্দোলনের মুখে সম্প্রতি পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে আগাম নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন শিয়া নেতা মুকতাদা আল-সদর। এক বিবৃতিতে আগাম নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানান তিনি। আন্দোলকারীদের দাবি না মানা পর্যন্ত আইন প্রণেতাদের পার্লামেন্ট অধিবেশন বয়কটেরও আহ্বান জানান এ শিয়া নেতা।
আই/
আরও পড়ুন