ইউরোপীয়দের কঠোর বার্তা দিলেন এরদোয়ান
প্রকাশিত : ০৯:৫৯, ২৭ অক্টোবর ২০১৯
সিরিয়ায় ‘নিরাপদ অঞ্চল’ প্রতিষ্ঠায় ইউরোপীয়দের সমর্থন চেয়ে কঠোর বার্তা দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোয়ান। তিনি বলেছেন, সশস্ত্র গোষ্ঠী কুর্দিদের হটিয়ে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে ‘নিরাপদ অঞ্চল’ প্রতিষ্ঠার যে চেষ্টা তুরস্ক করছে ইউরোপীয়দের তাতে সমর্থন দিতে হবে। এ কাজে সমর্থন না দিলে আঙ্কারা ইউরোপে যেতে ইচ্ছুক অভিবাসীদের জন্য নিজের সীমান্ত খুলে দেবে বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) ইস্তাম্বুলে এক বক্তৃতায় এ সতর্কবাণী উচ্চারণ করেন এরদোয়ান।
তিনি দাবি করেন, তুর্কি সেনাবাহিনী সিরিয়ার ভেতর থেকে তুরস্কে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হামলা প্রতিহত করার লক্ষ্যে একটি ‘নিরাপদ অঞ্চল’ গঠনের চেষ্টা করছে। ইউরোপীয়দেরকে এ প্রক্রিয়ার প্রতি সমর্থন জানাতে হবে।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, রাশিয়ার সোচিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার সাম্প্রতিক বৈঠকে উত্তর সিরিয়ার নির্দিষ্ট অঞ্চল থেকে কুর্দি গেরিলাদের সরে যাওয়ার ব্যাপারে সমঝোতা হয়েছে।
এর আগে এরদোয়ান নির্ধারিত ওই অঞ্চল থেকে কুর্দি গেরিলাদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, তারা সরে না গেলে, যেখান থেকে অভিযান স্থগিত ছিল, আবার সেখান থেকেই অভিযান শুরু করবে তুর্কি সেনাবাহিনী।
এদিকে, কুর্দি গেরিলাদের দমনের নামে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে তুরস্ক যে সামরিক আগ্রাসন চালিয়েছে আন্তর্জাতিক সমাজ তার বিরোধিতা করেছে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলছেন, তার সরকারের এ সিদ্ধান্তের প্রতি আন্তর্জাতিক সমাজকে সমর্থন জানাতে হবে।
গত ৯ অক্টোবর থেকে তুর্কি বাহিনী সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে আগ্রাসন চালায়। সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধ এবং তুর্কি-সিরিয়া সীমান্ত থেকে কুর্দি গেরিলাদের উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে আঙ্কারা ওই সামরিক আগ্রাসন শুরু করে।
অবশ্য টানা নয়দিনের আগ্রাসনের পর গত ১৮ অক্টোবর সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় তুর্কি বাহিনী। পরে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পর সীমান্ত থেকে কুর্দি গেরিলাদের সরে যাওয়ার শর্তে স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয় তুরস্ক।
পার্সটুডে
আই/
আরও পড়ুন