আন্দোলনের মুখে বলিভিয়ার প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ
প্রকাশিত : ০৮:৫৮, ১১ নভেম্বর ২০১৯
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট কারুচুপির অভিযোগে সৃষ্ট আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন ল্যাতিন আমেরিকার দেশ বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেস। পদত্যাগকালে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার স্বার্থে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে তিনি দাবি করেন।
রোববার (১০ নভেম্বর) দেশটির জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া এক ভাষণ দিয়ে তিনি পদত্যাগ করেন।
মোরালেস’র পদত্যাগের আগে নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে বিবৃতি দিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থা। তাদের দাবি, গত ২০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির যথেষ্ট প্রমাণ তাদের হাতে আছে।
এমন অভিযোগ উঠলে প্রেসিডেন্ট মোরালেস জাতির উদ্দেশে দেয়া এক টেলিভিশন ভাষণে দেশে আবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু সেনাবাহিনীর চাপে তার কয়েক ঘণ্টা না যেতেই তিনি ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন।
পদত্যাগকালে দেশে সহিংসতা ও নিরাপত্তাহীনতা ছড়িয়ে দেয়ার জন্য সরকার বিরোধীদের তীব্র সমালোচনা করেন সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী এই প্রেসিডেন্ট।
বলিভিয়ায় সম্প্রতি অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি কার্লোস মেসাকে পরাজিত করে পুনর্নির্বাচিত হয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট মোরালেস। কিন্তু কার্লোস মেসা কারচুপির অভিযোগ তুলে ওই ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেন এবং সরকার বিরোধী আন্দোলনের ডাক দেন। বলিভিয়ার সরকার বিরোধী এই নেতা আমেরিকাপন্থী রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত।
বলিভিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রুডরিগেজ পদত্যাগকারী প্রেসিডেন্টের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করে বলেছেন, ইভো মোরালেসকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট মোরালেস মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী নীতি গ্রহণ করার কারণে আমেরিকার পক্ষ থেকে তীব্র চাপের মুখে ছিলেন। ২০০৬ সাল থেকে বলিভিয়ার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তিনি।
সূত্রঃ পার্সটুডে
এআই/
আরও পড়ুন