আসামের এনআরসি বাতিলের পথে
প্রকাশিত : ১৯:২১, ২২ নভেম্বর ২০১৯
ভারতে আসামের জাতীয় নাগরিক তালিকা (এনআরসি) নিয়ে অনেক বিতর্কের পর অবশেষে তা বাতিল করার ইঙ্গিত দিয়েছে বিজেপি সরকার। তবে পুনরায় সারাদেশব্যাপি নতুন নাগরিক তালিকা করা হবে এবং সেখানে ধর্মের ভিক্তিতে কোন বৈষম্য করা হবে না বলে রাজ্যসভায় আশ্বস্ত করেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
ছয় বছরের পরিশ্রম শেষে এ এনআরসি করতে ১৬ শত কোটি টাকা খরচ হয়। তবে ২০২১ সালে জাতীয় নাগরিক পরিসংখ্যান নবায়ন করার পরই কেবল দেশব্যাপি এনআরসি তালিকা করা সম্ভব বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
জানা যায়, দেশটির সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে আসামে হওয়া এনআরসিরর চূড়ান্ত তালিকায় বাদ পড়েছেন ১৯ লাখ মানুষ। বাতিল হওয়া মানুষদের মধ্যে অন্তত ১৩ থেকে ১৪ লাখই হিন্দু। কয়েক মাস আগে তালিকা প্রকাশ হওয়ার পরেই বিতর্কে পড়েছিল ভারতের ক্ষমতাসীন দল।
সরকারের ওই সিদ্ধান্তকে অবশ্য স্বাগত জানিয়েছে এনআরসি মামলার মূল আবেদনকারী আসাম পাবলিক ওয়ার্কস। তাদের দাবি ছিল সব তথ্য আবারও যাচাই করা হোক। সংগঠনের সভাপতি অভিজিৎ শর্মা বলেন, ১৬শ কোটি টাকা খরচের সম্পূর্ণ অডিটও হোক।
আসামে এনআরসি হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে হয়েছে বলে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়। ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চকে এনআরসি তৈরির ভিত্তিবর্ষ বলে ধরা হয়েছিল।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ভবিষ্যতে দেশের সব রাজ্যে যখন এনআরসির কাজ শুরু হবে তখন অতীতের একটি নির্দিষ্ট দিনকে ধরে তার ভিত্তিতে তালিকা তৈরি হবে। তবে এখন এ ভিত্তি বছরে পরিবর্তন আনা হবে। তখন দেশের সকল রাজ্যে এনআরসি করা হবে।
এমএস/এসি
আরও পড়ুন