ভারতের সংসদের সামনে কলেজ ছাত্রীর প্রতিবাদ
প্রকাশিত : ১২:০৬, ১ ডিসেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ১৩:৫৬, ১ ডিসেম্বর ২০১৯
‘আমি কেন আমার নিজের ভারতে নিরাপদ নই’ পিচবোর্ডে লিখে সংসদের ২ আর ৩ নম্বর গেটের উল্টোদিকের ফুটপাথে একাই বসেছিলেন বিশ বছর বয়সী দিল্লির মেয়ে অনু। তেলেঙ্গানার পশু চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ, খুন ও পুড়িয়ে মারার কারণে তার এই প্রতিবাদ।
আজ একটি পিচবোর্ডে লাল কালিতে স্লোগান লিখে নীরবে দাঁড়িয়ে ছিলেন অনু দুবে। কিন্তু পুলিশ এখান থেকে চলে যেতে বলে মেয়েটিকে। তিনি যেতে না চাইলে তিনজন পুলিশ মিলে টেনে-হিঁচড়ে গাড়িতে তুলে নিয়ে যান পার্লামেন্ট স্ট্রিট থানায়। সেখানে অনুকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ বলেছে, সংসদের আশপাশে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ নিষিদ্ধ। তাই মেয়েটিকে এখান থেকে সরাতে হয়েছে। তবে ‘সংসদের ধারে কাছে আর প্রতিবাদ করব না’— এই মুচলেকা নিয়ে অনুকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
থানা থেকে বেরুলে অনুর হাতে ক্ষতচিহ্ন দেখা যায়। অনু বলেন, তাকে খামচে দেওয়া হয়েছে। হেড কনস্টেবল কুলদীপ, মঞ্জু এবং আরও এক পুলিশকর্মী তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন।
সাংবাদিকরা নানা প্রশ্ন করতে থাকলে অনু তাদেরকে থামিয়ে বলে ওঠেন, ‘আপনারা আমার কথা জিজ্ঞেস করছেন কেন? আমি শুধু আমার জন্য আজ এখানে আসিনি। ওই মেয়েটা মরে গেল। কাল আমি পুড়ে মরতে চাই না।’
বার বার ফুঁপিয়ে উঠছিলেন অনু। রাগ-দুঃখ-ঘেন্না মেশানো কান্না চোখে বললেন, ‘কখনও এভাবে পথে নামতে হবে তা ভাবিনি। শেষ পর্যন্ত আর পারলাম না। ওই ঘটনায় সারারাত মাইনি। নাগরিক হিসেবে আমারও তো অধিকার আছে মেয়ে হয়ে একটা ভয়মুক্ত জীবন নিয়ে বাঁচার।’
দিল্লির মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল অভিযোগ করে বলেছেন, থানায় একটি খাটের উপরে অনুকে ফেলে তার উপর চড়ে বসেন তিনজন মহিলা পুলিশ। স্বাতী আরও বলেন, মেয়েটির শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন আমি দেখেছি। দিল্লি পুলিশকে নোটিশ দেওয়া হবে। অনুকে নির্যাতনের দায়ে ওই তিন পুলিশ কর্মীকে অবিলম্বে সাসপেন্ড করতে হবে।
এএইচ/
আরও পড়ুন