ব্রেক্সিট বিবাদে ফের ভোটের লাইনে ইংরেজরা
প্রকাশিত : ২০:৩০, ১২ ডিসেম্বর ২০১৯
ভোট দিলেন বরিস জনসন
২০১৬ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ওপর এক গণভোটের পর থেকে ব্রিটেনের রাজনীতি টালমাটাল। কিন্তু তা এখনও বাস্তবে রূপ নেয়নি। তাইতো, বরিস জনসনের নেতৃত্বে ব্রেক্সিট, নাকি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার সিদ্ধান্ত উল্টে দেয়ার মতো আরেকটি গণভোট! -এই দুইয়ের মধ্যে থেকে একটিকে বেছে নিতে পাঁচ বছরের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছেন যুক্তরাজ্যের নাগরিকরা।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা থেকে ইংল্যান্ড, ওয়েলস, স্কটল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের ৬৫০টি সংসদীয় আসনে ভোট গ্রহণ শুরু হয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।
যুক্তরাজ্যে এই ভোট ২০২২ সালে হওয়ার কথা থাকলেও মূলত ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়া (ব্রেক্সিট) নিয়ে যে জটিলতা দেখা দিয়েছে, তার প্রেক্ষাপটেই আবারও ভোট হচ্ছে। ব্রেক্সিট নিয়ে পরিস্থিতি এতটাই জটিল অবস্থায় পৌঁছেছে যে, প্রায় শতবছরের ঐতিহ্য ভেঙ্গে ডিসেম্বরে ভোটের আয়োজন করতে হয়েছে কনজারভেটিভ পার্টির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে।
পার্লামেন্টে তিনবার ব্রেক্সিট চুক্তি পাস করাতে ব্যর্থ হয়ে টেরিজা মের পদত্যাগের পর ক্ষমতায় আসা জনসনকেও কম গলদঘর্ম হতে হয়নি। ৩১ অক্টোবরের মধ্যে ব্রেক্সিটে ব্যর্থ হয়ে তাই তাকে ডিসেম্বরে সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা দিতে হয়েছে।
জনসনের ভাষায়, যুক্তরাজ্যের বিদায় (ইউরোপিয় ইউনিয়ন থেকে) এবং অর্থনীতিকে হুমকির মুখে ফেলার মাধ্যমে যে রাজনৈতিক অচলাবস্থার তৈরি হয়েছে, তা থেকে উত্তরণের পথ দেখাবে এই নির্বাচন।
এদিকে, ‘ব্রেক্সিট সম্পন্ন কর’ (গেট ব্রেক্সিট ডান) স্লোগানে এই নির্বাচনে অংশ নেয়া জনসনের জয়ের ব্যাপারে আভাস মিলেছে বেশ কয়েকটি মতামত জরিপে।
বুধবার ব্রিটেনের কয়েকটি ভোট জরিপকারী সংস্থা তাদের মতামত জরিপের ফল ঘোষণা করেছে। এসব জরিপের সবকটিতেই দেখা গেছে, বরিস জনসনের কনজারভেটিভ পার্টির জনসমর্থন গতবারের চেয়ে কিছুটা কমলেও এখনও লেবার পার্টির চেয়ে এগিয়ে।
এনএস/
আরও পড়ুন