ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

টাইফুন ফানফোনে লণ্ডভণ্ড ফিলিপাইন, নিহত ২৮

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:৫৯, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯

বড়দিনে আঘাত হানা টাইফুন ফানফোনে লণ্ডভণ্ড ফিলিপাইন, যাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৮-এ পৌঁছেছে। এখনও নিখোঁজ রয়েছে অন্তত ১২ জন। যাতে মৃতের এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই দেশটির কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে শুক্রবার জানিয়েছে এএফপি।

খবরে বলা হয়েছে, ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলের প্রত্যন্ত গ্রাম ও বিখ্যাত পর্যটন এলাকার ওপর দিয়ে গত বুধবার ঘন্টায় ২০০ কিলোমিটার (১২৪ মাইল) বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যায়। এতে বহু প্রাণহানিসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) দেশটির কর্তৃপক্ষ ২৮ জনের প্রাণহানির কথা নিশ্চিত করে জানিয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার ১৬ জনের মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছিল। পরে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাসমূহের বিস্তারিত খবর পাওয়ার পর নতুন সংখ্যা নিরূপন করা হয়। 

ক্ষতিগ্রস্থ এসব এলাকার ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন রয়েছে। দেশটির জাতীয় দুর্যোগ এজেন্সির মুখপাত্র মার্ক টিম্বাল এএফপিকে বলেন, ‘মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তবে আমরা আশা করছি এ সংখ্যা অরিবর্তিত থাকবে।’

তিনি বলেন, অন্তত ১২ ব্যক্তি এখনও নিখোঁজ তালিকায় রয়েছে। নিখোঁজদের মধ্যে একই পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য ডুবে গেছে। এক পুলিশ সদস্য টহল দেয়ার সময় তার ওপর খুঁটি উল্টে পড়ে বিদ্যুৎস্পৃস্ট হয় এবং অপর এক ব্যক্তি উপড়ে পড়া নারিকেল গাছের নিচে চাপা পড়ে মৃত্যুবরণ করেন।

মূলত, ফিলিপাইনের বেশির ভাগ মানুষই ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বি। কিন্তু টাইফূন ফানফোন বিপুল সংখ্যক মানুষের বড়দিনের উৎসব পণ্ড করে দেয়। দেশটির উপকূল ও নিন্মাঞ্চলের বহুসংখ্যক লোককে ঘর ছাড়া করেছে। তারা বাধ্য হয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে বড়দিনের উৎসব উদযাপন করে। এসময় বিমান ও ফেরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় অনেকে পরিবারের সঙ্গে যোগ দিতে ব্যর্থ হয়।

টাইফুন ফানফোনে বোরাকা দ্বীপেও আঘাত হানে। বিখ্যাত এ দ্বীপে বছরে এক মিলিয়নের বেশি পর্যটকের সমাগম ঘটে থাকে। সেখানকার নারিকেল গাছসমূহ উপড়ে পড়ে, ঘরের জানালা বাতাসে উড়ে যায়, বুধ ও বৃহস্পতিবারে দ্বীপের সকল ফেরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

তবে এ দ্বীপটিতে কোনও প্রকার প্রাণহানী ঘটেনি এবং ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলের অন্যান্য এলাকার চেয়ে তুলনামূলক দ্বীপটি কম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অবস্থিত ফিলিপাইন চলতি বছরে প্রায় ২০ বার দুর্যোগের কবলে পড়ে। ফানফোনের স্থানীয় নাম ‘উরসালা’। ২০১৯ সালে ফিলিপাইনে এটি ২১তম দুর্যোগ। ফানফোন, সুপার টাইফুন হায়ান অপেক্ষা বেশ দুর্বল। ২০১৩ সালে টাইফুন হায়ানের আঘাতে ফিলিপাইনে ৭ হাজার ৩০০ লোকের প্রাণহানী ঘটে।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি