ঢাকা, বুধবার   ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

গলা পর্যন্ত গোবরে ডুবিয়ে ৬ বিকলাঙ্গ শিশুর চিকিৎসা! (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫৯, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ১১:০৩, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯

ছয় বিকলাঙ্গ শিশুকে গলা পর্যন্ত গোবরে ডুবিয়ে রাখা হচ্ছে- ভিডিও থেকে সংগৃহীত

ছয় বিকলাঙ্গ শিশুকে গলা পর্যন্ত গোবরে ডুবিয়ে রাখা হচ্ছে- ভিডিও থেকে সংগৃহীত

Ekushey Television Ltd.

ছয় বিকলাঙ্গ শিশুর অক্ষমতা দূর করার জন্য গলা পর্যন্ত গোবরে ডুবিয়ে চিকিৎসা দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এটি মধ্যযুগের কোন ঘটনা নয়। একুশ শতকে এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতে। 

গত বৃহস্পতিবার সূর্যগ্রহণের দিনে দক্ষিণ ভারতের কর্নাটকের একটি গ্রামে ৬ বিকলাঙ্গ শিশুকে গলা পর্যন্ত ডুবিয়ে রাখা হয় গরুর গোবরে। পরিবারের বিশ্বাস যে এর ফলে তাদের শারীরিক অক্ষমতা ঠিক হয়ে যাবে। খবর ডয়চে ভেলে’র। 

এদিন সকালে বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ দেখেছে গোটা বিশ্ব। কালো চশমা পরে সূর্যগ্রহণ দেখার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর ঠিক তখনই কর্নাটকের ওই গ্রামে ছয় শিশুকে গলা পর্যন্ত গরুর গোবরে ডুবিয়ে রেখে দেয় তাদের পরিবার। পরিবারের আশা, এর ফলে সুস্থ হয়ে যাবে তাদের সন্তান। প্রায় তিন ঘণ্টা ওই অবস্থাতেই ছিল শিশুগুলি। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় যুক্তিবাদী সমিতির কর্মীরা। শিশুদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। 

আক্রান্ত শিশুদের বয়স ৫ থেকে ১১। পরিবারগুলির দাবি, তারা শুনেছে গরুর গোবর পবিত্র। স্থানীয় এক ওঝা তাদের বলেছিল গ্রহণের সময় গ্রামের বাইরে জমিয়ে রাখা গোবরের পিটে তাদের গলা পর্যন্ত ডুবিয়ে রাখলে শারীরিক সমস্যা কেটে যাবে। যদিও এখন পর্যন্ত ওই ওঝার সন্ধান পাওয়া যায়নি।

শিশুদের যাঁরা উদ্ধার করেছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম ভীমারায়। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, কুসংস্কার সমাজের কতটা গভীরে এ ধরনের ঘটনা দেখলে তা বোঝা যায়। এ ধরনের সংস্কার কাটানোর জন্য সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয় না।
ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুদের উদ্ধার করে ভীমারায়সহ অন্যরা তাদের নিয়ে যান স্থানীয় হাসপাতালে। সেখানে এক শল্য চিকিৎসকের সঙ্গে তাঁরা যোগাযোগও করেছেন। চিকিৎসক জানিয়েছেন, বিনামূল্যে শিশুদের অপারেশন করে শারীরিক সমস্যার সমাধান করা হবে।

ভীমারায়ের বলেন, ‘চিকিৎসার সুযোগ আছে। কিন্তু সেই চিকিৎসা সংস্কারগ্রস্ত সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাচ্ছে না। রাজনৈতিক দলগুলি ভোটের জন্য গ্রামে গ্রামে প্রচার করতে যায়, কিন্তু সরকার গঠনের পরে তারা আর গ্রামমুখী হয় না। সংস্কারের বিরুদ্ধেও কোনও পদক্ষেপ হয় না।’
ছয় শিশুকেই এখন রাখা হয়েছে একটি সরকারি হোমে। শিশু সুরক্ষা বিভাগ তাদের দেখভাল করছে। কিন্তু তাদের নিয়ে এরপর কী করা হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। শিশুদের পরিবারগুলি অবশ্য তাদের বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে।

অন্ধ বিশ্বাসে ঝাড়ফুঁকে চিকিৎসা হয় কি?

বিশ্বাসে মিলে মুক্তি!
তেল-পানির বোতল হাতে ছুটছেন হাজার হাজার মানুষ। কিংবা কোনো পুকুর থেকে পানি নিতে ভীড় করেছেন অনেকে। বাংলাদেশে প্রায়ই এমন দৃশ্যের দেখা মিললেও ঝাড়ফুঁকে আদৌ রোগ নিরাময় না বলেই চিকৎসকদের অভিমত।

শক্তিবর্ধকে শক্তি নেই
দেশের বিভিন্ন স্থানে দোকান বসিয়ে নানা ধরনের শক্তিবর্ধক ওষুধ বিক্রি করেন অনেকে। আর এসব ওষুধ কিনে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন মানুষ। ওষুধের নামে এসব শক্তিবর্ধকে আসলে কোনো কাজ হয় না বলে ভুক্তভোগীদের ভাষ্য।

প্রতারণা
ঢাকার ব্যস্ততম এলাকার ফুটপাথে হাঁটলেই চোখে পড়বে পসরা সাজিয়ে সর্বরোগের ওষুধ বিক্রি করছেন অনেকে। সাধারণত নিম্ন আয়ের মানুষ ক্যানভাসারের বয়ান শুনে পটে গিয়ে এসব ওষুধ কেনন। বেশিরভাগ ওষুধই যৌনশক্তি বর্ধক। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, ফুটপাটের ওইসব ক্যানভাসারা আসলে সরল বিশ্বাসী মানুষদের সঙ্গে প্রতারণা করেন।

ঝাড়ফুঁকের অজুহাতে ধর্ষণ
জিন ও ভুত তাড়ানো বা ঝাড়ফুঁক করার নাম করে কবিরাজদের কাছে ধর্ষণের স্বীকার হন অনেক নারী। লাজলজ্জায় অনেকে এসব ঘটনা ফাঁস না করলেও অনেক ঘটনা প্রকাশের পর সংশ্লিষ্ট কবিরাজদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

সাংসারিক সমস্যার সমাধান
অনেক সময় নানা ধরনের সাংসারিক সমস্যার সমাধান ছাড়াও প্রিয়জনদের সঙ্গে সৃষ্টি হওয়া দূরত্ব ঘোচাতে আধ্যাতিক গুরু নামধারীদের কাছে ধর্ণা দেন অনেকে। অন্ধ বিশ্বাস থেকেই তারা এদের কাছে গিয়ে টাকা খরচ করেন।

জ্যোতিষীর দ্বারে
নানা কারণে হতাশ হয়ে, কেউবা আরেকটু ভালো কিছুর আশায় জ্যোতিষীর স্মরণাপন্ন হন। বলা হয়, জ্যোতিষীরাও কারো কারো দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে ভুলভাল পরামর্শ দেন, যা আসলে কোনো কাজে আসে না।

বিকল্প চিকিৎসা
কেউ চিকিৎসা প্রচলিত ব্যবস্থায় বিশ্বাস হারিয়ে আবার কেউ কেউ অর্থ সংকটে চিকিৎসা নিতে না পেরে বিকল্প চিকিৎসা হিসেবে কবিরাজের পেছনে ছোটেন।

ভিডিওটি দেখতে এই লিংকে ক্লিক করুন

এমএস/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি