ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৩:০৭, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯

পুলিশের সঙ্গে কথা বলছেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী- টুইটারের সৌজন্য়

পুলিশের সঙ্গে কথা বলছেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী- টুইটারের সৌজন্য়

অবসরপ্রাপ্ত ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিস (আইপিএস) কর্মকর্তা আর এস দারাপুরির বাড়িতে যাওয়ার সময় লখনউয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়লেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। তিনি উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন। ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধন বিল‘র (ক্যাব) বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে গ্রেফতার হন ঐ সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা। দাবাপুরির পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে শনিবার রাতে প্রিয়ঙ্কা হনস্তার শিকার হন। খবর আনন্দবাজার পত্রিকা’র। 

প্রিয়ঙ্কার অভিযোগ, ঐ দিন দলীয় সমর্থকদের নিয়ে তিনি যখন দারাপুরির বাড়ির উদ্দেশে যাচ্ছিলেন তখনই তাঁর কনভয় (গাড়ি বহর) আটকায় লখনউ পুলিশ। এরপরই মহিলা পুলিশকর্মীরা তাঁকে ঘিরে ধরেন। তাঁদের মধ্যে এক জন তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন বলেও দাবি করেন প্রিয়ঙ্কা। অন্য এক জন মহিলা পুলিশকর্মী তাঁর গলা টিপে ধরেন বলেও অভিযোগ। এই ঘটনার পর এক সমর্থকের স্কুটারে চেপে ফের দারাপুরির বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন প্রিয়ঙ্কা। কিন্তু দুই কিলোমিটারের মধ্যেই ফের তাঁর পথ আটকায় পুলিশ। শেষে হেঁটে দারাপুরির বাড়িতে পৌঁছন তিনি। রাজ্য সরকারের মদদেই এমন করেছে পুলিশ বলে অভিযোগ তুলেছেন কংগ্রেস নেত্রী।

প্রিয়ঙ্কা বলেন, ‘যদি পুলিশ তাদের গাড়ি নিয়ে আমাদের গাড়ির পথ আটকায়, আমাকে যদি পায়ে হেঁটে যেতে না দেওয়া হয়, আমাকে ঘিরে ধরা, ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া, গলা টিপে ধরা, এসব তা হলে কেন, কী কারণে? সরকার ও প্রশাসনের মদদ আছে বলেই এমনটা ঘটেছে। পুলিশের দমননীতির শিকার এমন প্রত্যেক নাগরিকের পাশে আমি থাকব। এটাই আমার সত্যাগ্রহ।’

প্রিয়ঙ্কার এই সব অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এই ঘটনা প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে (প্রোটোকল) উদ্দেশ করে লেখা একটি চিঠিতে সার্কেল অফিসার মডার্ন কন্ট্রোল রুম অর্চনা সিংহ বলেন, ‘বেশ কয়েকটি বিষয় (যেমন হেনস্থা করা, ঘাড় ধরে টেনে তোলা) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। যা কিনা সম্পূর্ণ মিথ্যা। নিষ্ঠার সঙ্গে আমি আমার কর্তব্য পালন করেছি।’ সার্কেল অফিসার পাল্টা দাবি করেছেন, ‘আমি প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর গন্তব্যস্থলের কাগজপত্র দেখতে চেয়েছিলাম। এবং সেটা নিরাপত্তার কারণেই। কিন্তু তাঁর দলের কর্মীরা এই তথ্য দিতে অস্বীকার করেন।’

এমএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি